শনিবার ভোরে সীমান্ত পিলার থেকে আনুমানিক ১৬০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে আল আমিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
Published : 12 Mar 2025, 12:26 PM
পঞ্চগড়ে সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ তিন দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তের জিরো লাইনে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তেঁতুলিয়া থানার এসআই নরেশ চন্দ্র দাস।
নিহত আল আমিন (৩৬) উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়ার সুরুজ আলীর ছেলে।
গত শনিবার ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ভিতরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৪ এর সাব পিলার ৭ থেকে আনুমানিক ১৬০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভাটপাড়া এলাকায় আল আমিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে আল আমিনসহ কয়েকজন ভারত থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন। শনিবার ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে বিএসএফের সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়।
এ সময় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে আল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে বিএসএফ সদস্যরা তার লাশ নিয়ে যান।
এ ঘটনায় মরদেহ ফেরত চেয়ে ও প্রতিবাদ জানাতে সোমবার বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়।
এসআই নরেশ চন্দ্র দাস বলেন, ভারতে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি ভারতের রাজগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনদিন পর মঙ্গলবার রাতে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে আল আমিনের লাশ ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ। এ সময় ভারতের রাজগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
পরে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন এবং শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তখন আল আমিনের বাবা সুরুজ মিয়া ও বড় ভাই মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
পরে বুধবার সকালে মোস্তফা কামাল জানান, তার ছোট ভাইয়ের মরদেহ সকাল ১০টায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুরানো খবর