বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার সদর ও বড়লেখা এবং নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Published : 20 Jun 2024, 06:59 PM
মৌলভীবাজার ও নেত্রকোণায় ঢলের পানিতে ডুবে চার শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার সদর ও বড়লেখা এবং নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলো- মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার শ্যামেরকোনা গ্রামের জমির মিয়ার ছেলে হৃদয় আহমদ (১৭), একই গ্রামের ফয়সল মিয়ার ছেলে সাদী আহমদ (৮), বড়লেখায় উপজেলার ভাগাডহর গ্রামের মো. সমছ উদ্দিনের মেয়ে ও গল্লাসাঙ্গন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আয়শা বেগম (১২) এবং নেত্রকোণার মাঘান সিয়াধার ইউনিয়নের গৌড়াকান্দা গ্রামের মিন্টু মিয়ার মেয়ে তোরা মণি (৮)।
মৌলভীবাজার সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও ঢলের পানি বেড়ে যাওয়ায় দুপুরে চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শ্যামেরকোনা গ্রামের বাড়ির পাশে কলাগাছের ভেলায় সাদি ও আরেক এক শিশু খেলছিল। এক পর্যায়ে তারা ঢলের পানিতে পড়ে যায়।
বাড়ি থেকে বিষয়টি দেখে হৃদয় আহমেদ তাদের উদ্ধার করতে আসে। সে একটি শিশুকে উদ্ধার করে উপরে এনে রেখে যায়। সাদীকে উদ্ধার করতে পানিতে ডুব দেয় হৃদয়। কিন্তু পরে আর সে উঠতে পারেনি। পরে দুজনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
শ্যামেরকোনা গ্রামের বাসিন্দা শোয়েব মিয়া বলেন, “দুজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। হৃদয় শিশুদের উদ্ধার করতে এসে ডুবে মারা গেছে।”
বড়লেখা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ উদ্দিন বলেন, দুপুরে আয়শা বাড়ির পাশে বন্যার পানি দেখতে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। একপর্যায়ে সে পানিতে ডুবে যায়। পরে স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকদিনের বর্ষণ ও ঢলের পানিতে গৌড়াকান্দা গ্রামের অনেক বাড়ির সামনের জমি তলিয়ে গেছে। বুধবার বিকালে পানিতে পড়ে তোরা মণি নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে।
কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
শিশু তোরা মণির চাচা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ফয়েজ রহমান প্লাবন বলেন, “এই সময়টায় ছোট শিশুদের দিকে সবার নজর রাখা দরকার। আমরা যেভাবে আমাদের পরিবারের শিশুটিকে হারালাম এভাবে আর যেন কোনো মায়ের কোল খালি না হয় সেজন্যে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।”