শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
Published : 11 Dec 2024, 10:22 PM
ফরিদপুর সদরে নিখোঁজের একদিন পর একটি বাড়ি থেকে সাত বছরের এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়ালে ওই বাড়ির মালিকে পিটিয়ে হত্যা করে জনতা।
বুধবার বিকাল ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চর নশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান।
নিহত শিশু তাহিয়া (৭) ওই গ্রামের জিয়া মোল্লার মেয়ে। সে সরকারি চর নশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পিটুনিতে নিহত মো. হায়দার মোল্লা (৫৫) একই এলাকার জহিরউদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি শিশুটির সম্পর্কে দাদা।
অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, বিকাল ৫টার দিকে হায়দার মোল্লার বাড়ির মাচার নিচ থেকে শিশু তাহিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে এলাকাবাসী হায়দারকে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তবে জনতা বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল তাহিয়া। শিশুটিকে হত্যার পর হায়দার তার বসত ঘরের মাচার নিচে বস্তায় ভরে রাখেন। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে হায়দার দীর্ঘদিন জেল খেটেছিলেন বলে জানান এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি আসাদউজ্জামান বলেন, হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি-না তা মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জানান, গণপিটুনিতে হায়দার মোল্লা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।