এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর কোর্সের ক্রেডিট ফি ও সেমিস্টার ফি কমানোর দাবি করেন তারা।
Published : 04 Jan 2025, 11:59 PM
ভর্তিতে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল ও আবেদন ফি কমানোর দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর কোর্সের ক্রেডিট ফি ও সেমিস্টার ফি কমানোর দাবি করেন তারা।
মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্যকোটা রাখে মানে জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে অস্বীকার করা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থী ভর্তিতে যে মুক্তিযুদ্ধ কোটা রয়েছে, সেটাও বাতিলে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এসব কোটা রাখা মানে মেধাবী শিক্ষার্থী ও মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে হাস্যরস করা।”
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে পোষ্যকোটা, মুক্তিযুদ্ধ কোটাসহ কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তার সন্তানরা শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। তারপরও যদি শিক্ষকদের সন্তানদের কোটা সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে সেটা হবে শিক্ষকদের মেধাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও তাচ্ছিল্য করা।
“বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশিরভাগ গ্রামের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন শ্রেণির পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনা করে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের অযৌক্তিক কোটা রাখা ও ভর্তির আবেদন ফি অতিরিক্ত রাখা মানেই তাদেরকে অধিকার বঞ্চিত করা।”
রাজনৈতিক অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফি ১২০০ টাকা। এ ফি রাখা হলে অনেক নিম্নবিত্ত শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আবেদনই করতে পারবে না। আমরা চাই এ ফি যৌক্তিক একটা পর্যায়ে নিয়ে আসা হোক। অন্যদিকে সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে। এ ফি দ্রুত কমিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।”
এ সময় আরও বক্তব্য দেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহরাব সাদাত, কেমি কৌশল ও পলিমার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী কিরণ হাওলাদার, রাজনৈতিক অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জুনায়েদ।
শিক্ষার্থীদের এসব দাবির বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো লিখিত আকারে প্রদান করুক। তাহলে আমরা এসব দাবি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সুপারিশ করব। কাউন্সিলে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনা করে দেখবে তখন।”