তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে; এতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
রোববার ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৫৯ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে বলে রাজারহাট আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান।
তিনি বলেন, “দু-দিন ধরে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। আরও দু-দিন এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।”
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ভারি বৃষ্টিপাতে শহরের হাসপাতাল পাড়া, ফায়ার সার্ভিস, হাটিরপাড়, রৌমারী পাড়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও নিম বাগান এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সারাদিন বর্ষণের ফলে রিকশা চালক, ভ্যান চালক, দিনমজুরসহ কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না।
এ ছাড়া জেলায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের রিকশা চালক সুজন মিয়া বলেন, “গতকাল সারাদিনে মাত্র ৩০০ টাকা ভাড়া মারছি। তা দিয়ে কিস্তি মিটাইছি। বাজার করার কোনো টাকা নাই। আজ তো খুব খারাপ অবস্থা। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হবাইছে। ঘর থেকে মানুষ না বেড়ালে ভাড়া হয় কেমনে। এমন আর দুদিন থাকলে হামরা গরিব মানুষগুলোর বিপদ।”
ওই ইউনিয়নের হযরত আলী বলেন, “সকাল থেকে বৃষ্টি। কাজকাম বন্ধ। টাকার চিন্তায় কিছু ভালো লাগে না। রাত পোহালে কিস্তি। ঘরে নাই বাজার-সদাই। এভাবে বৃষ্টি হলে মানুষের চলাফেরা কাজকর্ম সব বন্ধ হয়ে যাবে।”
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]