দীপু মনি বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী।
Published : 09 Dec 2023, 09:34 PM
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সম্পদের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের পরিমাণও বেড়েছে পাঁচ বছর আগের তুলনায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর ও হাইমচরের এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্যের জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে শনিবার সন্ধ্যায় দীপু মনির মোবাইলে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুরের এ আসনের সংসদ সদস্য।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও রাজনীতিক উল্লেখ করেছেন।
২০১৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৮ সালে তিনি স্থাবর সম্পদ হিসাবে ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন।
এবার তিনি তিনটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করেছেন; যেগুলোর মূল্য দেখিয়েছেন তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের ১০ কাঠা অকৃষি জমি। আগেও এই পরিমাণ জমিই দেখিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় দীপু মনি স্বামীর নামে ৪০ লাখ টাকার দু্টি ফ্ল্যাট দেখালেও বর্তমানে সেখানে দেখিয়েছেন ১৫ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট।
পাশাপাশি ২০১৮ সালের নির্বাচনে গাড়ি বাবদ এক্সিম ব্যাংকে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০৫ টাকা ঋণ দেখালেও এবার ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। তিনি ১ কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৩ টাকা ব্যক্তিগত ঋণ দেখিয়েছেন।
২০২৩ সালে দেওয়া হলফনামায় দীপু মনির বার্ষিক আয় মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ও ভাতাসহ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ টাকা। অন্যান্যের মধ্যে এফডি, ব্যাংকের সুদ এবং স্বামী ও ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছেন ৯৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৪ টাকা এবং শেয়ার ও সঞ্চয়পত্রে ৩ লাখ ১ হাজার ২০০ টাকা আয় দেখিয়েছেন।
তিনি ইলেকট্রনিক সামগ্রীর কোনো বিবরণ দেননি। তবে মন্ত্রীর নামে আসবাবপত্র লাখ টাকা এবং তার স্বামীর নামে দেখানো হয়েছে ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া বর্তমানের হলফনামায় পেশা থেকে কোনো আয় না দেখালেও গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশা থেকে আয় দেখিয়েছিলেন বছরে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় শিক্ষামন্ত্রী কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা এবং তার স্বামীর নগদ অর্থ ১১ লাখ ২ হাজার টাকা।
পাশাপাশি দীপু মনির ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৬ টাকা এবং পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে এক কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৩৫৭ টাকা। অপরদিকে তার স্বামীর নামে বেনোভোলেন্ট ফান্ডে আছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।
এবার শিক্ষামন্ত্রীর কাছে রয়েছে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা জিপ গাড়ি। যা একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেখিয়েছিলেন ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকার মিৎসুবেশি পাজেরো গাড়ি।
আর এবার স্বামীর নামে দেখানো হয়েছে ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের একটি কার।
তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দীপু মনির স্বর্ণের পরিমাণ বাড়েনি। এবারও নিজের নামে ৯ লাখ টাকার স্বর্ণ আর স্বামীর নামে ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ দেখানো হয়েছে।