“বাচ্চাটি মানুষ দেখলে গর্জে উঠে এবং ভয় পায়। বাচ্চাটিকে বিভিন্ন প্রকার মাংস খাওয়ানো হয়েছে।”
Published : 23 Jun 2024, 01:58 AM
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা থেকে একটি চিতাবাঘের বাচ্চা উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। স্থানীয়দের ধারণা ভারতের আসাম থেকে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে এসেছে বাচ্চাটি।
শনিবার বিকালে উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে প্রাণীটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রৌমারী বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন।
গত ১৬ জুন গভীর রাতে চিতাবাঘের বাচ্চাটি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারে আরএস ফ্যাশন নামের একটি দোকানে ঢুকে পড়ে। পরে দোকানমালিক রাসেল ইসলাম বাচ্চাটিকে ধরে খাঁচায় আটকে রাখেন।
রাসেল ইসলাম চাক্তাবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বলেন, “রাত প্রায় আড়াইটার দিকে আমার দোকানে চিতাবাঘের বাচ্চাটি প্রবেশ করে। প্রথমে মনে করি সেটি বিড়াল। কিন্তু ভালো করে দেখি চিতা বাঘের বাচ্চা।
“পরে বাচ্চাটিকে না মেরে কৌশলে পাটের চট দিয়ে ধরে বাড়িতে নিয়ে খাঁচায় আটকে রাখি। এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে খবর দেই। ছয়দিন পর বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে বাচ্চাটি হস্তান্তর করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “বাচ্চাটি মানুষ দেখলে গর্জে উঠে এবং ভয় পায়। বাচ্চাটিকে বিভিন্ন প্রকার মাংস খাওয়ানো হয়েছে।”
স্থানীয় আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, মনে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ভারতের আসাম প্রদেশের মানকারচর পাহাড় থেকে বন্যার পানির সঙ্গে বাচ্চাটি ভেসে এসেছে। বাচ্চাটির মা চিতাবাঘও সন্তানের খোঁজে এলাকায় থাকতে পারে বলে মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বনবিভাগের কর্মকর্তা ইকবাল বলেন, “গ্রামে একটি চিতাবাঘের বাচ্চা ঢুকে পড়ার খবর পেয়ে শনিবার ঘটনাস্থলে যাই এবং বাচ্চাটিকে উদ্ধার করি।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, “বিষয়টি বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তারা পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।”