নাটোরে ধর্ষণের দায়ে জোড়া যাবজ্জীবন, খাটতে হবে ৬০ বছর

এ মামলার বাকি তিন আসামিকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2024, 10:02 AM
Updated : 12 Feb 2024, 10:02 AM

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় দশ বছর আগে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে এক আসামিকে ৬০ বছরের কারাদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত।

নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সোমাবার চার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান জানান।

দণ্ডিতরা হলেন- উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার আতিক হাসান (৩২), একই এলাকার সুমন আলী (৩৩) ও টিপু সুলতান (৪৩) এবং আবু জাফর (৩৫)।

তাদের মধ্যে আতিক হাসানকে দুই ধারায় আলাদাভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, তার দুই ধারার যাবজ্জীবন সাজা একটির পর একটি কার্যকর হবে।

সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দণ্ডবিধি ও ফৌজদারী কার্যবিধির আওতায় কারো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে তাকে সাজা খাটতে হয় ৩০ বছর।

সে হিসাবে দুই ধারার যাবজ্জীবন সাজায় আতিককে ৬০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর ভাষ্য।

এ ছাড়া বাকি তিন আসামিকেও যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে রায়ে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আতিক হাসান নাটোরের এক কলেজছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে ওই কিশোরী। এরপর আসামিরা একসঙ্গে কিশোরীকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করতেন।

২০১৪ সালের ১০ অগাস্ট সকালে মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় আতিক, সুমন, টিপু ও জাফর তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে কিশোরীর চাচা গুরুদাসপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

অপহরণের পর নাটোর সদরের একটি বাসায় নিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে আতিক। ১০ দিন পর পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সাহা ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সোমবার চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়।