পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীদের ভাষ্য, সবচেয়ে বেশি টিলা উজাড় হয়েছে নগরী ও উপকণ্ঠে। আইনের ফাঁক গলেই টিলা কাটা হচ্ছে।
Published : 31 Jul 2023, 01:26 AM
ছোট-বড় টিলাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে সিলেট নগরী; কিন্তু গত তিন-চার দশকে বহু টিলা কেটে সমতল করে ফেলা হয়েছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে, জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস করে এসব জায়গায় আবাসিক এলাকা, আধুনিক ভবন গড়ে তোলা হয়েছে বলে পরিবেশবাদীদের অভিযোগ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বলছে, ১৯৫৬ সালে ভূমির মাঠ জরিপের তথ্যে সিলেটের ছয় উপজেলায় ১ হাজার ২৫টি টিলার অস্তিত্ব ছিল। এর বাইরে আরও তিনটি উপজেলায় বেশ কিছু টিলা ছিল। এর মধ্যে অন্তত ১০০ টিলা পুরোপুরি কিংবা আংশিক সাবাড় হয়ে গেছে।
সেই ১ হাজার ২৫টি টিলার মধ্যে নগর ও উপকণ্ঠ মিলিয়ে সিলেট সদর উপজেলায় টিলা ছিল ১৯৯টি। এর বাইরে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৪১৩টি, বিয়ানীবাজারে ২৭০টি, জৈন্তাপুরে ৯৮টি, গোয়াইনঘাটে ৪৪টি ও কোম্পানীগঞ্জে একটি টিলা ছিল সে সময়।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ২৫১ দশমিক ৮ একর টিলাশ্রেণির ভূমি এবং দক্ষিণ সুরমা ও কানাইঘাট উপজেলায়ও কিছু টিলার কথা এসেছিল জরিপে।
তবে কী পরিমাণ টিলা সিলেটে ছিল, আর তার কতটা এখনও টিকে আছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পরিবেশ অধিদপ্তর দিতে পারেনি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কী পরিমাণ টিলা রয়েছে সেই হিসেব ভূমি অফিসে আছে। টিলা কাটা বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিলা কাটা বন্ধে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে।”
পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীদের ভাষ্য, সবচেয়ে বেশি টিলা উজাড় হয়েছে নগরী ও উপকণ্ঠে। আইনের ফাঁক গলেই টিলা কাটা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় বা টিলা কাটা যেতে পারে।
সিলেটের জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, “২০০০ সালে জরিপে সিলেট অঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধীন অনেক টিলার শ্রেণি পরিবর্তন হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি কেউ চাইলে বেচাকেনা করতে পারেন। অনেকে টিলাকে ‘টিলা বাড়ি’ হিসেবে রের্কড করেছেন।”
এভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করেই এসব টিলা কাটা হয়েছে বলে বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আক্তারের ভাষ্য।
আবাসনের বিস্তার
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যা এখন ৫ লাখ ৩২ হাজারের বেশি, যা ২০১১ সালে ৪ লাখ ৭৯ হাজারের মত ছিল। জনসংখ্যা যত বেড়েছে, তত বেশি আবাসনের প্রয়োজন হযেছে এই শহরে।
সিলেট নগরীতে যত টিলা উজার হয়েছে তার অধিকাংশ স্থানেই আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিলা কেটে সরকারি স্থাপনাও হয়েছে।
যুগ যুগ ধরে ভূমি কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়, সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে এসব টিলা কাটা হয়েছে বলে পরিবেশবাদীদের অভিযোগ।
গত দুই দশকে নগরীর আখালিয়া, ব্রাহ্মণশাসন, করেরপাড়া, গ্রিনসিটি, দুসকি, জাহাঙ্গীর নগর, বালুচর, বড়গুল এলাকায় টিলা কেটে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সবশেষ নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলদারপাড়ার ‘মজুমদার টিলা’ কেটে গড়ে তোলা হয়েছে ‘শান্তিনিকেতন’ আবাসিক এলাকা।
সোমবার সরেজমিনে নগরীর কালীবাড়ি এলাকার হাওলদারপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, মজুমদার টিলা নামে পরিচিত টিলাটির চারপাশে গড়ে তোলা হয়েছে বড়-বড় স্থাপনা। টিলা কেটে গড়ে তোলা পাড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তিনিকেতন আবাসিক এলাকা’।
মজুমদার টিলার বেশিরভাগ অংশ কাটা হয়ে গেছে। টিলাটির মধ্যখানের অংশটিও কাটা হচ্ছে কৌশলে। বাসাবাড়ি নির্মাণ কাজও চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নগরীর সবচেয়ে বড় টিলা ছিল ‘মজুমদার টিলা’। এটি প্লট আকারে বিক্রি করা হয়ে গেছে বেশ কয়েক বছর আগেই। তারপর থেকেই নীরবে চলছে টিলার মাটি কাটা। টিলার চারপাশে বাসাবাড়ি ছাড়াও দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
টিলাটি যেন কাটা না হয় এজন্য পরিবেশবাদীরা অনেক আন্দোলন করেছেন, দৌড়ঝাঁপ করেছেন, সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়েছে। কিন্তু কিছুই কাজে আসেনি বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।
তিনি বলেন, “এর কারণ মূলত পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্লিপ্ততা। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতাই সিলেট বিভাগের পাহাড় টিলা ধ্বংসের অন্যতম কারণ। হাওলাদার পাড়ার বিভিন্ন টিলা কাটার সময় পরিবেশ কর্মীদের চাপে লোক দেখানো জরিমানার ঘোষণা দিলেও টিলাকাটা বন্ধ হয়নি। একই টিলায় একাধিকবার জরিমানা করার নাটক করা হয়েছে।
“এই টিলাখেকোদের স্থানীয়রা প্রভাবশালী মনে করে। তাই এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ নেই। পাহাড় টিলা রক্ষা করতে হলে স্থানীয় মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।”
‘মজুমদার টিলা’র মালিক সুব্রত মজুমদার সুইডেন প্রবাসী। তার হয়ে টিলার প্লট ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটি করেছেন কয়েকজন প্রতাবশালী ব্যক্তি। টিলাটির অধিকাংশ প্লট কিনেছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ব্যাংকার ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা।
তবে যারা সেখানে প্লট কিনেছেন বা ভবন তৈরি করেছেন, তাদের কেউ এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চান না।
কয়েকজন বাসিন্দা বললেন, যখন টিলা প্লট আকারে বিক্রি করা হয়, তখনই তাদেরকে বলা হয়েছে, টিলার মাটি সরিয়ে ভবন তৈরি করার মত অবস্থা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া টিলা কাটার কিছু লোক আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সবকিছু হয়ে যায়। অনেকেই টিলার মাটি বিক্রি করে থাকেন। নতুবা মালিকপক্ষ তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভূমি সন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির বলেন, “মজুমদার টিলা এলাকায় শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। নগরীর পাহাড়-টিলাগুলো কেটে প্রাণীকূল ধ্বংস করা হচ্ছে। পাহাড় টিলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ঠিকমত কাজ করতেন তাহলে এটা হত না। চারপাশে টিলা ও সবুজের নগরী সিলেটকে ন্যাড়া করে দেওয়া হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়নের নামে। আন্দোলন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না; কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন।”
স্থানীয়দের কথা
নগরীর কালীবাড়ি, হাওলদারপাড়া, ব্রাহ্মণশাসন এলাকার একাধিক স্থায়ী বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বর্ষাকালটা তাদের জন্যে আতঙ্কের।
ব্রাহ্মণশাসন এলাকার পঞ্চাশোর্ধ একজন বাসিন্দা বলেন, “বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় টিলা কাটার মহোৎসব শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাত ধরে চলে, ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাটি কাটা বন্ধ করে চলে যান শ্রমিকেরা। রাতেই ট্রাকে মাটিগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এ মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে সিলেট নগর ও শহরতলির নতুন বাসাবাড়ি তৈরিতে।
হাওলদারপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১০ একরের মজুমদার টিলার অর্ধেকের বেশি ভাগই কেটে মাটি বিক্রি করা হয়ে গেছে। কাটা অংশে তোলা হয়েছে নতুন বাসাবাড়ি।
ওই এলাকার একজন জানালেন, মাঝেমধ্যে বাইরে দিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে ভিতরে চলে মাটি কাটা। আবার কখনো কখনো দেখা যায় বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে মাটি কাটেন শ্রমিকরা। যাতে বাইরে থেকে কেউ বুঝতে না পারে। অনেকটা চুপিসারেই করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, “টিলা কাটা বন্ধে আমরা গত দুই বছরে ১০০টি অভিযান পরিচালনা করেছি। দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে।”
জরিমানা কিংবা মামলা করেও প্রভাবশালীদের টিলা কাটা থেকে বিরত করা যায়নি বলে পরিবেশ আন্দোলনের একজন সংগঠক মন্তব্য করেছেন।
তিনি মহানগরীর মধ্যে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী চা-বাগানের কথা উল্লেখ করেন। সেটি ব্যক্তি মালিকানাধীন চা বাগান। এই বাগানের মধ্যে অনেকগুলো টিলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ১০ মার্চ এসব কাটা টিলার ছবি তোলার সময় পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী ও সাংবাদিকদের কয়েকজনকে আটক করে বাগান কর্তৃপক্ষ। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেয়।
সে সময় টিলা কাটার প্রমাণ দেখে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করে। টিলা কাটার দায়ে চা-বাগান কর্তৃপক্ষকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড অ্যানফোর্সমেন্ট উইং ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
পরিবেশ আন্দোলনের এই সংগঠক বলেন, “ওই পর্যন্তই। এরপরেও ওই বাগানের আরও টিলা কাটা হয়েছে। সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে যা হয়, এখানেও তাই হচ্ছে।”
বড়গুল এলাকার এক বাসিন্দা; যিনি আবাসিক এলাকার মধ্যেই ছোটখাট ব্যবসা করেন (৪০), তিনি বলেন, তাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি টিলা দীর্ঘদিন ধরে কাটা হচ্ছে। এসব টিলা কেটে অনেকে জায়গা বিক্রি করছেন। মাঝখানে কেউ কেউ আবার টিলার মাটি ক্রয়-বিক্রয়ের ঠিকাদারিও করেন। এভাবেই কাটা হচ্ছে টিলা।
নগরীর জাহাঙ্গীরনগর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের এলাকার টিলাগুলো কেটে অনেক বাসা-বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আরও করা হচ্ছে। এ ছাড়া চা বাগানের টিলাগুলোতেও বাসাবাড়ি নির্মাণ চলছে।”
পাহাড় কাটলে বিরূপ হয় পরিবেশ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুশতাক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “পাহাড় যদি আমি কাটি তাহলে পাহাড়টার স্থিরতা নষ্ট হল। সেই ক্ষেত্রে ভূমিকম্পের সময়ই পাহাড় ধ্বস হবে, ভূমি ধ্বস হবে। এতে পাহাড়ের নিচে যারা বসবাস করছে তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভূ-প্রাকৃতিক দিক দিয়ে পাহাড় কাটার সঙ্গে ভূমিকম্পের সম্পর্ক নেই। তবে পরিবেশগত দিকে দিয়ে সম্পর্ক আছে। তাই পাহাড় কাটা যাবে না।
তিনি বলেন, পাহাড় হচ্ছে একেকটি পানির সংরক্ষক (রিজার্ভার)। যখন বৃষ্টিপাত হয়, বৃষ্টির পানিটা পাহাড় ধারণ করে রাখে। যখন বৃষ্টিপাত থাকে না তখন এই পানিটা পরিবেশের কাজে লাগে। কিন্তু পাহাড় কাটলে এই রিজার্ভারটা কমে যাবে। তখন পরিবেশে জলাবদ্ধতা হবে। তখন বন্যা হবে।
“পাহাড় কাটলে আরেকটি বড় সমস্যা সিলেটে হয়, সেটি হচ্ছে- বৃষ্টি হলে পাহাড়ের মাটিটা শহরের কিংবা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাটা কমিয়ে ফেলে। ছড়াগুলো ভরে যায়। এটার জলাবদ্ধতার ও বন্যার কারণ হচ্ছে।
অধ্যাপক মুশতাক বলেন, সিলেটের পাহাড়গুলো পাথরের নয়, উপরের মাটিটা উর্বর। ভিতরের মাটিটা শক্ত হতে পারে। যার ফলে অনেক ফসল হচ্ছে; অনেক প্রাণি বসববাস করছে। পাহাড় কাটার ফলে এসব প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে। এতে খাদ্যশৃঙ্খলসহ পুরো জীব-বৈচিত্রের ওপর প্রভাব পড়ছে। পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
টিলা কাটা বন্ধে জেলা প্রশাসনের কী উদ্যোগ জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, “আমি দুই-তিন দিন হলো সিলেটে যোগদান করেছি। সিলেটে টিলা কাটা বন্ধে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করা হবে। আইনগত প্রক্রিয়া মেনেই জেলা প্রশাসন পাহাড়-টিলা রক্ষায় কাজ করবে।”