“মোবাইল এত কথা না বলে আপনি আমার বাড়ি আসেন,” বলেন ওই বিএনপি নেতা।
Published : 19 Jan 2025, 01:04 AM
মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শিল্পী বেগম নামে এক নারী বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন বলে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন জানান।
মামলার আসামি কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির সহ যুববিষয়ক সম্পাদক নিয়ামুল হোসেন মিলন। তিনি উপজেলা মহেশপুর ইউনিয়নের বাথানডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
এজাহারে তার বিরুদ্ধে ছেলেকে মামলার আসামি বানানোর ভয় দেখিয়ে মা শিল্পী বেগমের কাছে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে।
শিল্পী বেগম ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৭ ডিসেম্বর কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের বাথানডাঙ্গা-রামপুর গ্রামের ইজিবাইকচালক মাহাবুর মিয়ার বাসার সামনে থেকে একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। কার উদ্ধারের সময় ওই বিএনপি নেতা পুলিশের সঙ্গে ছিলেন।
তবে গাড়ির মালিক খুঁজে না পেয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ প্রাইভেট কারটি জব্দ দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। তবে কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
পরে জানা যায়, প্রাইভেট কারটি মাহাবুর মিয়ার কাছে নিয়ে এসেছিলেন তার এক বন্ধু। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মাহাবুর মিয়া।
মাহাবুরের চাচা সৈয়দ মিয়া বলেন, “নিয়ামুল হোসেন মিলন রাজনীতি করেন, আমরা জানি। প্রাইভেট কার উদ্ধারের সময় তিনি পুলিশের সঙ্গেও ছিলেন। গাড়ি উদ্ধারের পর থেকে তিনি মাহাবুরের মা শিল্পী বেগমকে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে ভয় দেখিয়ে আসছেন।”
শিল্পী বেগমের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার ছেলেকে প্রাইভেট কার সংক্রান্ত মামলা না দেওয়ার শর্তে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেছেন আসামি।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা নিয়ামুল হোসেন মিলন বলেন, মাহাবুরের মায়ের অনুরোধে মামলা না হওয়ার জন্য তিনি থানায় সুপারিশ করতে যান। তখন ওই থানার এসআই গৌতম কুমার সেন মামলা না দেওয়ার শর্তে টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে এসআই গৌতম কুমার সেন বলেন, “মিলন সাহেবকে আমি চিনি। তবে তার সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বিষয় বা টাকার বিষয় নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। তিনি হয়ত নিজে ফেঁসে গিয়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।”
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন বলেন, “বৃহস্পতিবার শিল্পী বেগম বাদী হয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে একজনকে। আমাদের আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। দ্রুতই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
এদিকে, নিয়ামুল হেসেন মিলনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. সেলিম বলেন, “মামলা যেহেতু হয়েছে, সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”