গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাভোগ শেষে বাড়ি ফেরার নয় মাসের মাথায় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেন ওই ব্যক্তি।
Published : 29 Jan 2025, 11:19 PM
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ শেষে বাড়ি ফিরে নয় মাসের মাথায় আপন ভাইকে খুনের মামলায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে বেঞ্চ সহকারী মাসুদ পারভেজ জানান।
দণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন (৪৮) উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার নথির বরাতে মাসুদ পারভেজ বলেন, ইতোপূর্বে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী মুজিবুর রহমান হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা পান রুহুল আমিন। নয় মাস আগে সাজা খেটে বাড়ি ফিরেন তিনি।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভাই ফিরোজ হাওলাদারকে (৪৭) বসতবাড়ির সামনে বসা অবস্থায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান রুহুল আমিন।
পেশায় রাজমিস্ত্রি আহত ফিরোজকে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির করার পরদিন রাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী রানী বেগম কাঠালিয়া থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার তখনকার এসআই কাইউম বাহাদুর ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে এ রায় ঘোষণা করে।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মামলা পরিচালনা করেছেন আবদুল মান্নান রসুল। গত দু’মাস ধরে পিপি হিসেবে আছেন মো. মাহেব হোসেন।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে সবশেষ ছিলেন খান শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আমার মক্কেল সুবিচার পাননি। আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।”
ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী রানী বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হত্যাকারীর ফাঁসির রায় হয়েছে, এতে একটু সন্তুষ্ট হয়েছি। কিন্তু যারা খুনীকে মদদ দিয়েছিল, তারা এতোদিন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নাম মামলায় যুক্ত করতে দেয়নি।
“উল্টো শ্বশুরের ওঠানো ঘরের একটি বারান্দায় এতিম চার সন্তানকে নিয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এতিম সন্তানরা যেন কোনো জায়গা-জমি না পায়, সেজন্য তারা অত্যাচার করেছে। কয়েক মাস হল বাধ্য হয়ে ছোট ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় এসে মানুষের বাসা-বাড়িতে কাজ করে খাচ্ছি।”