সাফজয়ী ফুটবলার আঁখিকে দেওয়া জমির মামলা প্রত্যাহার

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার বাদী হাজির হয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2022, 02:33 PM
Updated : 26 Sept 2022, 02:33 PM

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্য সিরাজগঞ্জের আঁখি খাতুনকে প্রশাসনের দেওয়া আট শতাংশ জমি দাবি করে দায়ের করা মামলা বাদী প্রত্যাহার করেছেন।

সোমবার ওই মামলার বাদী মকরম প্রামানিক সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম জানান, আঁখির জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ৮ শতাংশ জমির একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ৪ জুন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার জমির দলিল হস্তান্তর করেন।

ইউএনও জানান, সম্প্রতি হাজী মকরম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি ওই জমি তাদের দখলে রয়েছে দাবি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার তফসিলে তিনি খতিয়ান উল্লেখ বা জমিটির মালিকানা দাবি করেননি।

“আজ [সোমবার] দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী নিজেই মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।”

Also Read: সাফজয়ী ফুটবলার আঁখির বাবাকে শাসানো ২ পুলিশ প্রত্যাহার

জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, ফুটবলে অবদান এবং পারিবারিক দারিদ্র্যের কথা বিবেচনা করে তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায় আঁখিকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই জমির মালিকানা দাবি করে শাহজাদপুরের একজন ব্যবসায়ী মামলা দায়ের করেন। জমি নিয়ে সমস্যার কথা আঁখি বাফুফে সভাপতিকে জানান। বাফুফে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন ওই জমির বরাদ্দ বাতিল করে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত আট শতাংশ জমি আঁখির নামে বরাদ্দ দেয়। গত ৪ জুন এই জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।

কয়েক দিন আগে আঁখি খাতুনকে বরাদ্দ দেওয়া ওই জমির দখল নিয়ে হাজী মকরম প্রামানিক মামলা করেন। মামলায় আঁখিসহ পাঁচ জনকে বিবাদী করা হয়।

গত বুধবার [২১ সেপ্টেম্বর] রাতে মামলার নোটিশ নিয়ে এএসআই মামুনুর রশিদ ও কনস্টেবল আবু মুসা আঁখির গ্রামের বাড়িতে গেলে আঁখির বাবার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা হয়। পরে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়।