শাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, অস্ত্র নিয়ে মহড়া

ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানায় প্রক্টর।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2024, 05:24 PM
Updated : 8 March 2024, 05:24 PM

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন। 

এ সময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের দেশি অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে দেখা গেছে। 

শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হল ও বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন।   

আহতরা হলেন- ‍নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আরিফ ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের আশফাকুর। তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২১-২২ ব্যাচের নামকরণ নিয়ে নিজেদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে পরিসংখ্যানের বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহসভাপতি মামুন শাহর সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক আপত্তিকর মন্তব্য করেন। 

এ নিয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইশতিয়াককে শাহপরাণ হলে ডাকেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান। 

বিষয়টি নিয়ে ওই হলের অতিথি কক্ষে মামুন শাহর সমর্থক ও ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৈমুর সালেহীন তাউসের সঙ্গে খলিলুর ও সজীবুর রহমানের পক্ষের সিনিয়রদের কথা কাটাকাটি হয়। 

বিকাল ৫টার দিকে খলিলুর রহমানের সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গেলে মামুন শাহার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশি শস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মামুন শাহর দুজন সমর্থক আহত হন। 

মামুন শাহর সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক বলেন, “ব্যাচের নামকরণ পছন্দ না হওয়ায় গ্রুপে কথা বলেছিলাম। ঘটনাটি নিয়ে আদনান আমাকে শাহপরাণ হলে ডেকে নিয়ে শাসিয়েছেন। পরে বিষয়টি আমার পক্ষের বড় ভাইদের জানাই। 

“তারা আমাকে সেখান থেকে নিয়ে যান। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গেলে আবারও ঝামেলা বাধে।” 

খলিলুর রহমানের সমর্থক আদনান বলেন, “ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় মীমাংসার জন্য বসা হয়। সেখানে বিষয়টি মীমাংসাও হয়। কিন্তু পরে ইশতিয়াক তার সমর্থকদের নিয়ে ঝামেলা বাধায়। তবে আমার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।” 

সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শাখা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন বলে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা মামুন শাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।