‘দাম্পত্য কলহের জেরে’ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহতের স্বামী।
রোববার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পদমদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শৈলকুপা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম।
নিহত ৪০ বছর বয়সি নাজমা খাতুন ওই গ্রামের প্রয়াত ইজাহার শেখের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী চরত্রিবেণী গ্রামের রইচ উদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী। দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন নাজমা।
নিহতের পরিবারের বরাতে ওসি আমিনুল বলেন, “প্রায় ২৮ বছর আগে নাজমার সঙ্গে রইচ উদ্দিনের বিয়ে হয়। রইচ ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সন্তানসহ নাজমা বাবার বাড়িতে থাকার সুবাদে রইচ মাঝে মধ্যে সেখানে যেতেন।
“নয় মাস আগে রইচ সবার অজান্তে ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করেন। বিষয়টি জানার পর নাজমার সঙ্গে রইচের ঝগড়াবিবাদ লেগেই থাকত। তিন দিন আগে রইচ ঢাকা থেকে শ্বশুর বাড়িতে উঠেন। রোববার রাতে নাজমাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি।”
রাতে স্বজনরা শিশুর কান্না শুনে ঘরে ঢুকে বিছানায় নাজমার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে ওসি বলেন, নাজমার স্বামী রইচকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।