২৬ বছর পর রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।
শনিবার শহরের শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনকে ঘিরে শহরের অলিগলিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন, তোরণ দিয়ে স্থানীয় নেতারা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সম্মেলন উপলক্ষে ১৪০ ফিটের নৌকা আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ৪০ হাজার নেতা-কর্মীর বসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মাঠে বসানো হয়েছে ২০টি সিসি ক্যামেরা, ৬০টি মাইক।
সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৯৯৬ সালে সবশেষ জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। ২০০৪ সালে ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে জহুরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং আবুল হোসেন ও শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।”
“এরপর আর কোনো কমিটি হয়নি। তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি ১৯ বছর পার করছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল জেলা শাখার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন।”
কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করার দাবি জানিয়ে শওকত হাসান বলেন, দলের দুর্দিনে যারা হাল ধরেছিলেন; তারা যেন জেলা কমিটিতে স্থান যায়। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর ক্ষেত্রে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মনোনীত করার দাবি জানান তিনি।
সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শরীফ, ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি আসাদুজ্জামান শামীম, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আশরাফুল ইসলাম আশা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হরিপদ সরকার রানা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, আল মাসুদ।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে যুবলীগ নেতা শওকত হাসান, যুবলীগ নেতা রামিম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদের নাম শোনা যাচ্ছে।
সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত জানিয়ে সভাপতি প্রার্থী আসাদুজ্জামান শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হতে চলেছে। আগামী নির্বাচনে রাজবাড়ীর দুটি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে যারা ভূমিকা রাখতে পারবেন তাদেরকে যেন নেতৃত্বে আনা হয়।”
সেইসঙ্গে সংগঠন ও দলের দুর্দিনে যারা রাজপথে থেকে সংগ্রাম করেছে তাদের মূল্যায়ন করার দাবি জানান আসাদুজ্জামান।
সম্মেলনে যুবলীগের চেয়ারম্যান ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম, সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।