সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
Published : 23 Mar 2025, 04:06 PM
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শরীরে ‘ব্লেডে কাটা’ জখম নিয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিকালের এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম।
২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুটির মা জানান, শনিবার বিকালে শিশুটি বাড়ির পাশের দোকানে দই কিনতে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর শিশুকে বিধ্বস্ত অবস্থায় ফিরতে দেখে মা কোলে নিয়ে দেখেন তার জননাঙ্গে ব্লেড দিয়ে কাটার মত জখম এবং সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি কাছের সেনা ক্যাম্পে অবহিত করে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি জানান, শিশুটির মধ্যে চরম ভয়-আতঙ্ক কাজ করছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে শিশুটির ঘুম ভাঙার পর তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও সে কিছুই বলতে পারেনি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মামুন মোস্তাফিজ বলেন, “ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে সাত বছরের শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হলে তাৎক্ষণিক তাকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
“ওয়ার্ডে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। এসব পরীক্ষার ফলাফলের পর পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, “বিষয়টি জানার পর রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে শিশুটি কার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
“এরপরও রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।