পাঠদান অবস্থায় এক শিক্ষিকাকে স্থানীয় লায়েক খান শ্রেণিকক্ষে ঢুকে চুলের মুঠি ধরে মারপিট শুরু করে।
Published : 31 Aug 2024, 08:28 PM
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।
শনিবার দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক পরিবারের আয়োজনে এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষও অংশ নেন।
প্রতিবাদকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের আটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অবস্থায় এক শিক্ষিকাকে স্থানীয় লায়েক খান শ্রেণিকক্ষে ঢুকে চুলের মুঠি ধরে মারপিট শুরু করে। তাকে শারীরিকভাবেও লাঞ্চিত করা হয়। পরে অন্য শিক্ষকরা এসে তাকে রক্ষা করেন।
একটি পক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করে। উপজেলার শিক্ষক পরিবার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা হামলাকারী লায়েক খানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতাহার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি রূপক কান্তি দে, শিক্ষক রজত কান্তি দাস, গোপাল চন্দ্র দাস, আলমগীর হোসেন, সালেহা পারভীন, শাহজাহান সিরাজ, নুরুল হক, পুষ্পিতা রানী তালুকদার।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা বলেন, “বিদ্যালয়ের চারপাশে পানি থাকায় বিদ্যালয়ে ভর্তিবিহীন এক শিশুকে দপ্তরিকে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিশুর বাবা লায়েক খান আমার উপর অতর্কিত হামলা করেন। আমি এর বিচার চাই।”
উপজেলা শিক্ষা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি রূপক কান্তি দে বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি হামলাকারীকে গ্রেপ্তার না করা হয়; তাহলে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হবে। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত সব শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”