ইউপি সদস্য শহীদের দাবি, পালিয়ে যাওয়া দুই যুবককে এলাকাবাসী চিনতে পেরেছেন।
Published : 19 Jan 2025, 03:12 PM
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবকের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এক যুবদল নেতা।
শনিবার রাতে উপজেলার সুজানগরের বাড্ডা জহিরগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম ।
নিহত নোমান আহমদ (২৮) উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সুজানগর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ বলেন, রাতে নোমান বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় হঠাৎ মোটরসাইকেলে দুই যুবক এসে নোমানের বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে।
এ সময় তার চিৎকারে মানুষজন এগিয়ে এলে যুবকরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইউপি সদস্য শহীদের দাবি, পালিয়ে যাওয়া দুই যুবককে এলাকাবাসী চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন, সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের সবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও অপরজন একই ইউনিয়নের কালাইউরা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ।
তবে কী কারণে নোমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ জানান, নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ইউরোপে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন ও মাঝেমধ্যে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন এবং পারিবারিক কৃষি কাজও করতেন।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। জড়িতদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।”
“লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে অভিযুক্তরা ছুরিকাঘাত করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না সেটি নিয়েও তদন্ত চলছে। ”
এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার ওসি মো. আব্দুল কায়ূম বলেন, নোমানের পরিবার থেকে এখনও থানায় অভিযোগ আসেনি। লাশ এখনো সিলেটে রয়েছে। লাশ আসার পর দাফন শেষে হয়তো তার পরিবার থেকে এজহার আসবে।
“তবে এজহার না আসলেও আসামি ধরতে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম।”