কুষ্টিয়ায় ‘অ্যালকোহল পানে’ মৃত্যু বেড়ে ৪

স্বজনরা জানান, ভেড়ামারা ও পোড়াদহ থেকে অ্যালকোহল কিনে পান করেন এরা; অসুস্থ হয়ে রাতেই হাসপাতালে যান।

কুষ্টিয়ায় অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ আরেকজন মারা গেছেন; এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চারে। হাসপাতালে ‘আশঙ্কাজনক’ অবস্থায় ভর্তি আছেন আরও চারজন। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, সোমবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাপাতালে তিনজন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। 

এরা হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলোর বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার্থী সিফাতুল্লাহ শিপু (২৬), মিরপুর উপজেলার মশান বারুইপাড়ার রতন (২১), তার প্রতিবেশী সবুজ (২৪) এবং সদর উপজেলার আইলচারার শাহিন (৪৭)। 

পুলিশ ও মৃতের স্বজনরা জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও পোড়াদহ এলাকা থেকে রোববার রাতে অ্যালকোহল কিনে পান করেন এরা। এরপর অসুস্থ হলে রাতেই তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

মৃত রতন ও সবুজের স্বজনরা জানান, রোববার রাতে পোড়াদহ থেকে অ্যালকোহল কিনে এনে একই পাড়ার ছয়-সাত জন মিলে একসঙ্গে বসে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, রোববার রাতে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসে কয়েকজন ভর্তি হন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তিনজন মারা যান। আরও তিনজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

“এ ছাড়া দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা যান সবুজ। একজন এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।” 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজন এবং রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন একজনের অবস্থাও ‘আশঙ্কজনক’ বলে জানান এই চিকিৎসক।  

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, রোববার রাতে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পান করে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে চারজনের মৃত্যু হয়। 

তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে রতন ও শাহীনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া সিফাতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

“বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও আটক করা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” 

এ ব্যাপারে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন