গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়াকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Published : 04 Jun 2024, 05:59 PM
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও তাদের কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটঘরিয়া বাজার সংলগ্ন ইসারত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে আটঘরিয়া থানার ওসি হাদিউল ইসলাম জানান।
তৃতীয় ধাপে ২৯ মে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. তানভীর ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চাদভা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম কামাল।
আহতরা হলেন- জিয়া (৩৫), বুলবুল ফকির (৪০), রনি (২৬), জাহিদ (৩০) এবং ভোলা (২২)। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জিয়াকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ইশারত উচ্চ বিদ্যালয় পাশে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থক জুয়েল, শাহ আলম ও প্রিন্সের লোকজন অতর্কিত আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
“এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পাঁচজনকে আহত করা হয়। পরে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র, টেলিভিশন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।”
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, “বিজয়ী হওয়ার পর থেকে তানভীর ইসলামের লোকজন আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে।
“তারই ধারাবাহিকতায় নিজেদের আন্তঃকোন্দলের দায় আমার লোকজনের ওপর চাপিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার লোকজনকে হয়রানির চেষ্টা করছেন।”
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ওসি হাদিউল বলেন, অভিযোগ পেলেই মামলা দায়ের করা হবে।