বরিশালের ওই কিশোরীকে দুবাই পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 16 Jan 2025, 07:54 PM
বরিশাল সদর থেকে অপহরণের পর দুবাই পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই কিশোরীর নামে তৈরি করা হয় নকল জাতীয় পরিচয়পত্রও।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানান বরিশাল মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) রুনা লায়লা।
বুধবার মধ্যরাতে নগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিখানা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট এলাকার বাসিন্দা সুইটি (২৭), শরীয়তপুরের বাসিন্দা যুথী বেগম (২৪) এবং নোয়াখালীর রায়পুরের বাসিন্দা আল-আমিন (২৮)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুনা লায়লা বলেন, “১ জানুয়ারি সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের এক কিশোরী নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে চর হবিনগর খেয়াঘাট এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে কৌশলে অপহরণ করেন সুইটি ও যুথী।
“পরে তাকে নগরীর ভাটিখানা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। ২ জানুয়ারি ওই কিশোরীকে ঢাকায় নিয়ে নকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন তারা। পরে তাকে বরিশালে ফেরত এনে নগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খালেক মিয়ার বাসার দ্বিতীয় তলায় আটকে রাখা হয়।”
তিনি বলেন, ১ জানুয়ারির পর কিশোরীকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তার মা ৯ জানুয়ারি মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে কাউনিয়া থানার-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরী উদ্ধার করে। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় দুই নারীসহ তিনজনকে।
অপহরণের পর ওই কিশোরীকে দুবাই পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা।
কাউনিয়া থানার ওসি নাজমুল নিশাত বলেন, এ ঘটনায় কিশোরীর মা মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই কিশোরীকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল আদালতের জিআরও এসআই হুমায়ন কবির বলেন, আসামিদের বরিশাল মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক নুরুল আমিন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।