শিক্ষা, জলবায়ু সচেতনতায় ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের বাইক রাইড

১৮ ব্রিটিশ বাংলাদেশি বাইসাইকেল নিয়ে যাবেন ঢাকা থেকে সিলেটে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2023, 05:43 PM
Updated : 2 Feb 2023, 05:43 PM

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের ক্ষতি মোকাবেলা এবং শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেট বাইক রাইডের আয়োজন করেছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্রিডম ফিফটি’।

শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকা থেকে শুরু হবে ১৮ ব্রিটিশ বাংলাদেশির এই বাইসাইকেল রাইড; শেষ হবে ৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটে গিয়ে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন চার বাংলাদেশিও।

বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে বাইক রাইডের জন্য আসা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা দেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘ফ্রিডম ফিফটি’ প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সে সময় বাইক রাইডের আয়োজন করা সম্ভবপর হয়নি।

জলবায়ু পরিবর্তনে সচেতনতার পাশাপাশি বাইক রাইডের মাধ্যমে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে একটি পরিবেশবান্ধব স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য তহবিল সংগ্রহের কথা জানান ফ্রিডম ফিফটি চ্যারিটি বাইক রাইডের প্রধান শেইল আহমেদ।

ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরিষাবাড়ির ওই দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য এক লাখ পাউন্ড তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। ইতোমধ্যে ৯১ হাজার পাউন্ড উঠে গেছে।

শেইল আহমেদ বলেন, ব্রিটিশ-বাঙালি মানুষদের অতীত ঐতিহ্যকে উদযাপনের লক্ষ্য নিয়ে হাতে নেওয়া হয়ে ফ্রিডম ফিফটি প্রকল্প। এটি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের শহর ও জনগণের সমন্বিত লক্ষ্য এবং ১৯৭১ সালের আত্মত্যাগকে স্মরণের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পারিবারিক সম্পৃক্ততা নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। আমরা জানি, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। ৫০ বছরের এই সময়ে দাঁড়িয়ে পূর্বপূরুষদের এই ভূমি যেন ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিলীন হয়ে না যায়, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি আমাদের লক্ষ্য।”

‘ফ্রিডম ফিফটি’ প্রকল্পের আরেকজন প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদ পাশা বলেন, অতি গরিব শিশুদের জন্য একটি অসাধারণ সূচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চায় ফ্রিডম ফিফটি, যাদের অনেকে বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বাইক রাইডের মাধ্যমে ওঠা তহবিলের মাধ্যমে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিরাপদ খেলার মাঠ ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, “বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য সুদূর যুক্তরাজ্য থেকে তারা এখানে এসেছেন। নিজেদের বাংলাদেশি শেকড়ের সন্ধানের পাশাপাশি একটি ভালো কারণকে সামনে রেখে তারা এখানে এসেছেন।”

বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশে পরিবেশবান্ধব সাইক্লিংয়ের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতেও এটা ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।