যুক্তরাষ্ট্রে নানা আয়োজনে প্রবাসীদের শহীদ দিবস পালন

৩৩ বছর ধরে নিউ ইয়র্কের ‘মুক্তধারা’ ও ‘বাঙালি চেতনামঞ্চ’ যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করছে।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2024, 06:23 AM
Updated : 22 Feb 2024, 06:23 AM

যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালি সংস্কৃতিচর্চা অব্যাহত রাখার সংকল্পে নানা আয়োজনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছেন প্রবাসীরা।

বাংলাদেশে একুশের প্রথম প্রহরের সঙ্গে মিলিয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা একটা এক মিনিটে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মুক্তধারা নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

৩৩ বছর ধরে নিউ ইয়র্কের ‘মুক্তধারা’ ও ‘বাঙালি চেতনামঞ্চ’ যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করছে।

এতে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলো হলো- আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখা, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন, অনুপদাস ড্যান্স একাডেমি, বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি, বাংলাদেশ ল অ্যাসোসিয়েশন, শ্রীকৃষ্ণ ভক্তসংঘ, ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, রবীন্দ্র একাডেমি, নীলা ড্যান্স একাডেমি, কুমিল্লা সোসাইটি, জাসদ, বঙ্গমাতা পরিষদ, মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর অ্যাসোসিয়েশন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সোসাইটি এবং বরিশাল বিভাগীয় সোসাইটি ইত্যাদি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কুইন্স প্যালেস, বাংলাদেশ সোসাইটির অংশগ্রহণে তিব্বত কম্যুনিটি সেন্টার, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি সেন্টার, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিবিএ) উদ্যোগে ডাইভার্সিটি প্লাজা এবং ব্রঙ্কসের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু সংগঠনের ব্যানারে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে একুশের গানসহ ভাষা শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। প্রতিটি কর্মসূচিতেই নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো।

এতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমানসহ বিশিষ্টজনরা ভাষা আন্দোলনের আলোকে বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, “আমি ভাষাকে তুলনা করতে চাই উর্বর মাটির সাথে। মাটিতে একটি গাছ হয়, সেই মাটি থেকে গাছটি পুষ্টি সংগ্রহ করে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দেয়, এবং ফুল-ফল ফলায়। আমাদের ভাষাও তেমনি একটি বিষয়, যা পূর্বপুরুষেরা অনুধাবনে সক্ষম হয়েছিলেন। একুশে ফেব্রুয়ারি থেকেই বস্তুত মানসিকভাবে আমরা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম। তাই একুশে ফেব্রুয়ারির বহুমাত্রিক অভিধা রয়েছে আমাদের জাতীয় জীবনে।”

আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান বলেন, “ভাষা শহীদদের রক্তদানের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুচিন্তিত নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হয়েছি বাঙালিরা। তবে সেই স্বাধীনতার বিরোধীরা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একুশের চেতনায় উজ্জীবিত থেকেই সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।”