বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বিভিন্ন আলপনা ও রঙে সাজিয়ে তোলা হয় উৎসব প্রাঙ্গণ।
Published : 15 May 2024, 11:48 PM
বাংলা সংস্কৃতি চর্চার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মঙ্গলবার হ্যানয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের বাসভবনে এ উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন করেন তারা।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভিয়েতনামে বসবাসরত বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে উৎসব প্রাঙ্গণ।
ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণের প্রথম পর্ব। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্রদূতের বাসভবন ‘বাংলাদেশ হাউসে’ আনন্দমেলার আয়োজন করা হয়।
পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বিভিন্ন আলপনা ও রঙে সাজিয়ে তোলা হয় উৎসব প্রাঙ্গণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবারের সমন্বয়ে স্থাপন করা হয় বেশ কয়েকটি স্টল।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের হাজার বছরের গৌরবময় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো পহেলা বৈশাখ। এটা আমাদের প্রাণের উৎসব। আমাদের সংস্কৃতির শেকড়ের সন্ধান দেয় বাংলা নববর্ষ। ফেলে আসা বছরের সুখ-দুঃখ ভুলে মানুষ নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ হয়। এ দিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলে মিলে উৎসবে মেতে ওঠে। এই উৎসব দেশ ও দেশের মানুষকে সারা বিশ্বে তুলে ধরে। তাই জাতীয় জীবনে এ দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।”
তিনি আরও বলেন, “গুরুত্বের গভীরতায় উৎসবটি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা আমাদের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও গৌরব।”
অশুভ ও অসুন্দরকে জয় করে সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় উৎসব। বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশুদের যৌথ অংশগ্রহণে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।