এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
Published : 28 Aug 2024, 01:23 PM
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশত্যাগে বাধ্য করা’ হয়েছে দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো।
সোমবার ওয়াশিংটন ডি.সিতে হোয়াইট হাউজ ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে এ সমাবেশে বস্টন, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া ও ম্যারিল্যান্ডসহ আশপাশের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত ও দখলদার’ বলে অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, “এ সরকার ৫ অগাস্ট থেকে সারা দেশে আওয়ামী লীগ, পুলিশ, ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গ্রেপ্তার তথা সমগ্র বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিণত করেছে।”
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশত্যাগে বাধ্য করার’ প্রসঙ্গটি উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের কাছে থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ডেস্কের কর্মকর্তা সিয়েরা ডেহমন্ড। এসময় নেতা-কর্মীরা ‘স্ট্যান্ড উইথ হাসিনা’, ‘লং লিভ হাসিনা’, ‘উই আর ফর হাসিনা’, ‘স্টপ কিলিং ইন বাংলাদেশ’, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, মাসুদুল হাসান, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, সোলায়মান আলী, দরুদ মিয়া রণেল, ফরিদ আলম, তরিকুল হায়দার চৌধুরী, শরিফ কামরুল আলম হীরা, নুরল আফছার সেন্টু, সাহানারা রহমান, মুজিবুর রহমান, শাহীন আজমল, রফিকুর রহমান, এমদাদ চৌধুরী, সাহী নাজমুল, মাহমুদুন নবী বাকী, শেখ সেলিম, জি আই রাসেল, আজাদ, তাপস, ইকবাল ইউসুফ, মমতাজ শাহনেওয়াজ, শেখ জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া ও হুমায়ূন আহমেদ।