সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সম্প্রতি ভিয়েতনাম সফর করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল।

বাংলাদেশে সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

সম্প্রতি হ্যানয়ে ভিয়েতনামের শ্রম, প্রতিবন্ধী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায়উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সোমবার দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবজানান,সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। এ খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) প্রণয়ন করেছে। দারিদ্র্য ও ঝুঁকি মোকাবেলায় জীবনচক্রভিত্তিক সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন করা এ কৌশলের প্রধান লক্ষ্য।

এর আওতায় ইতোমধ্যে কর্ম-বয়সী মানুষের জন্য সফলভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, বেকারত্ব, দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব এবং অসুস্থতা ঝুঁকি নিরসনের জন্য সমন্বিত সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উত্তম চর্চা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,“সামাজিক বিমার মাধ্যমে নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণে ভিয়েতনাম অনবদ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এই সফরের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত জ্ঞান এবং আরো বৃহৎ পরিসরে বিস্তারিত গবেষণা করে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।”

২১-২৭ এপ্রিল ভিয়েতনামে এ সরকারি সফর করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল।

এ সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ভিয়েতনামের শ্রম, প্রতিবন্ধী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, কুয়ান নিন প্রদেশ সরকার, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার হ্যানয় কার্যালয়, ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ভিয়েতনামের সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়ামন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল হ্যানয়ে হো চি মিন মাওসোলিয়াম পরিদর্শন করেন এবং ভিয়েতনামের নেতা হো চি মিনের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।