প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ‘ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ এর প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’-এর একটি প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় ৩০ জনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, গ্রিস ও কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিরা ছিলেন।

তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেন। লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য ও দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেন তারা।

প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রবাসে বসবাসরত বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা কীভাবে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে, এ ব্যাপারে 'ভয়েস ফর বাংলাদেশিজ'-এর প্রেসিডেন্ট শিক্ষাবিদ হাসনাত হোসাইনের প্রচেষ্টা ও যোগাযোগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ইউনূসের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাসনাত অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশে আসতে না পারায় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহিদুর রহমান।

শুরুতেই সংগঠনের সভাপতি হাসনাতের লিখিত বক্তব্য ইউনূসের সামনে পড়ার মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হয়।

প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত হলো। সময়ের স্বল্পতায় অনেক কথা বলা হলো না। ছোট করে শুনলাম। লিখিত পত্র থেকে বিস্তারিত জানব। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে।"

যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অমর স্মৃতি রাজপথের দেয়াল গ্রাফিতির একটি স্মারকগ্রন্থ তার অটোগ্রাফসহ হাসনাতের জন্য হস্তান্তর করেন।

সভায় আরও ছিলেন সংগঠনের মহাব্যবস্থাপক ও লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র আ ম অহিদ আহমদ, ডাইরেক্টর লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স নজরুল খসরু, ডাইরেক্টর মিডিয়া অ্যাফেয়ার্স কে এম আবু তাহের চৌধুরী, ডাইরেক্টর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স শামসুল আলম লিটন, ডাইরেক্টর অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স আবদুল কাদির সালেহ, ডাইরেক্টর কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স আবদুল লতিফ, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শরাফত হোসেন বাবু, হোমায়ের চৌধুরী, নজির আহমদ, মাহবুব আলম শাহ, আফজাল জামি, সারওয়াত বারী, আহসান মহম্মদ হাফিজ, জিয়া উদ্দিন, এ কে মওদুদ হাসান, দিলরুবা আজিজ ও গুলাম আরহাম।

তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার ব্যবস্থা, প্রবাসীদের সমস্যা ও দাবি, স্থানীয় সরকার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ ও পানি ব্যবস্থাপনাসহ মোট ১২টি বিষয় তুলে ধরেন এবং তাদের গবেষণা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন।