দেশের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল কমিটি এবং অঙ্গসংগঠনগুলোকেও এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
Published : 21 Mar 2024, 04:22 PM
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ঘিরে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
স্বাধীনতা দিবসের ভোরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা করে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। এরপর সেখান থেকে ফিরে শেরে বাংলা নগর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
আগের দিন ২৫ মার্চ সকাল ১০-১২টা নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করবে বিএনপি। আর স্বাধীনতা দিবসের পর দিন ২৭ মার্চ সকাল ১১টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে হবে আলোচনাসভা।
দিবস উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করবে দলটি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি তুলে ধরা হয়।
দেশের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল কমিটি এবং অঙ্গসংগঠনগুলোকেও এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, “একাত্তরের যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র অর্জনের যুদ্ধ। আজকে তো দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের মৌলিক অধিকার নাই, বাক স্বাধীনতা নাই, সংবাদপত্রের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নাই। পাঠ্যপুস্তকে বীরদের কথা লিখিত নাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। আমরা বিএনপির তরফ থেকে ও মুক্তিযোদ্ধাদের তরফ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের অবদানকে প্রাদপ্রদীপের আলোয় আনার চেষ্টা করব।”
হাফিজ বলেন, “আগামী দিনগুলোতে আমাদের আবার নতুন করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, বিদেশি শক্তির হাত থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য, চিন্তার স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে আমাদেরকে হয়ত ভূমিকা রাখতে হবে।
“এবারের স্বাধীনতা দিবসটি আমাদের জন্যে এই কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যকে যেহেতে বাস্তবায়ন করতে পারিনি, বিএনপি এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বিএনপি কাজ করবে।”
সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য্ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সাখাওয়াত হাসান জীবন, মুক্তিযোদ্ধা দলের জয়নাল আবদীন, সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত উপস্থিত ছিলেন।