বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ন্যূনতম যে সংস্কার, সেটা করে নিয়ে নির্বাচনটা করলে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধান হবে।”
Published : 21 Jan 2025, 04:10 PM
দ্রুত নির্বাচনের জন্য এতদিন তাগাদা দিয়ে এলেও এখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলছেন, ন্যূনতম সংস্কার করেই নির্বাচন চান তিনি।
নির্বাচন নিয়ে কেন এত মুখর, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর থেকেই দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার তাড়া দিয়ে আসছিলেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি শীর্ষ নেতারা।
গত ১৩ জানুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসেও ফখরুল চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ‘গ্রন্থ আড্ডা’ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাকে অনেকে ভুল বোঝে যে, আপনি এত নির্বাচন নির্বাচন করেন কেন। বিশেষ করে ছাত্ররা তো বলেই।
“এখানে কারণ একটাই, আমরা বিশ্বাস করি, আমি জানি না, এই বিষয় ভুল কি না, যেকোনো নির্বাচিত সরকার কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো। আমার অ্যাক্সেস থাকে, আমি যেতে পারি, কথা বলতে পারি। এখন আমার সেই জায়গাটা নেই।”
ফখরুল আরও বলেন, “নির্বাচনটার কথা এজন্য তাড়াতাড়ি বলি যে, নির্বাচনটা হলে দেশের সমস্যাগুলো চলে যাবে। একটা নির্বাচিত সরকার পিপলস ম্যান্ডেট নিয়ে বসবে। এরা (অন্তবর্তীকালীন সরকার) তো এখন বসতে পারিনি, ওদের মধ্যে সেই কনফিডেন্স তো নাই। পিপলের ভাষাটা তো বুঝতে হবে। সেটা একটা নির্বাচিত সরকার সবচেয়ে ভালো বোঝে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে সেটা বিএনপি বলছে না দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ন্যুনতম যে সংস্কার, সেটা করে নিয়ে নির্বাচনটা করলে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধান হবে।”
“সংস্কারের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস যে, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা তিনি খুব শিগগিরই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদেরকে ডাকবেন, একটা সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই তো কয়েক মাস হয়েছে, এর মধ্যে সব পাগল হয়ে গেছে। এই সরকার অনেক ভুল-ত্রুটি করছে, ভুল তো করবেই কারণ তারা রাজনীতি করেনি, তারা তো রাজনীতি জানে না, বোঝে না। তাই তাদেরকে তো সেই সময় দিতে হবে।”
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা আবদুস সাত্তার পাটোয়ারির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, পলিসি গবেষক মাহাদী আমিন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষানুরাগী আফরোজা খানম রীতা, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।