স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইনতগত কোনো সুযোগ নেই। কাজেই আমাদের অবস্থান আপনারা বুঝতে পারছেন। আমরা বসে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার আসছিলেন, একটি চিঠি দিয়েছেন আমরা দেখেছি। আইনমন্ত্রী একটি মতামত দিয়েছেন, সেটা আমরা পর্যালোচনা করছি, আরও অধিকতর জায়গায় যদি নিতে হয় তাহলে আমরা পরামর্শ নেব। এখন আমাদের পর্যালোচনায় এটা এসেছে যে এটা নিয়ে আরও আমাদের কথা বলতে হবে।”
এর আগে সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, খালাদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার ভাইয়ের করা আবেদনে মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়।
তবে সেখানে কী থাকছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে তিনি বলেছিলেন, “এই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে। যেহেতু এই আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে, তাই কী মতামত দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।”
৭৬ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বুহ বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার ‘সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই’ দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই। সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করা হয়।
এবার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবারও সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন বিএনপিপন্থি ১৫ জন আইনজীবী। আর বিএনপির পক্ষ থেকে অনশন, মানববন্ধন, সমাবেশের মত কর্মসূচি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার বিষয়ে আবেদন বিবেচনা করতে ‘নজির’ খুঁজছেন তিনি। উপমহাদেশে কোনো আদালতে এমন ‘নজির আছে কি না’ তা দেখে ‘কিছুদিনের মধ্যেই’ সিদ্ধান্ত জানাবেন।
তবে তার আগে তিনি বলেছিলেন, দণ্ডিত খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে চাইলে তাকে আবার কারাগারে ফিরে গিয়ে সরকারের কাছে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সোমবার তিনি বলেন, “আমি আইনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, সেই ব্যাখ্যার কোনো... কোনোখানে দেখি নাই কোনো জাজমেন্টে দেখি নাই এটার সঙ্গে দ্বিমত আছে।আমার ব্যাখ্যাটা সঠিক বলে আমি মনে করি।"