শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চায় একটি মহল: তথ্যমন্ত্রী

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 05:25 PM
Updated : 2 Dec 2021, 05:25 PM

তিনি বলেছেন, “একটি মহল শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল-ডিএসইসি মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করছে, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।

নিরাপদ সড়ক আমাদের প্রয়োজন, সরকারও এ বিষয়ে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিমধ্যেই হাফভাড়া করে দিয়েছে। আশা করব, আমাদের সন্তানরা এখন ক্লাসে ফিরে যাবে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা শুরু হয়েছে, তাদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অনেকে রাজনীতি ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে এবং রামপুরার ঘটনাকে সেই অপচেষ্টার অংশ বলেই অনেকে মতপ্রকাশ করেছেন।

“ছাত্রদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তারা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। সুতরাং এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমি অভিভাবকদের অনুরোধ জানাবো এব্যাপারে আপনারাও সতর্ক থাকবেন।”

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন যে, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে ফেলা হবে’। তারা তো আমাদের সাড়ে বারো বছর আগে থেকে টেনে হিঁচড়ে নামাতে চাচ্ছেন এবং সেটি করতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে তারাই পড়ে গেছেন।

“আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো, আরো টান দিলে আপনারা আরো পড়ে যাবেন। সুতরাং সেই চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।” 

আইপি টিভির বিরোধিতায় টিভি মালিকরা

দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যা্সোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র নেতারা বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করে আইপি টিভি নিবন্ধন দেওয়ার বিরোধিতা করে আসেন।

এটকো’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরিফ হাসান, পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, আব্দুল হক, কাজী জাহেদুল হাসান, আশফাক উদ্দীন ও সদস্য নাসির উদ্দীন বৈঠকে অংশ নেন।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় তিন ডজনের মতো টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করছে, অবাধ তথ্য দিচ্ছে। সেখানে নতুন করে আইপিটিভির অনুমোদন দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, সে উদ্বেগের কথা আমরা মন্ত্রীকে আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি।

“মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো অনুমোদন ছাড়াই ওটিটিতে অনুষ্ঠান এমন কি সংবাদ পর্যন্ত প্রচার করছে। আমরা মনে করি এটা অবৈধ এবং তা বন্ধের দাবি জানিয়েছি।”

তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,মোবাইল অপারেটরগুলো লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করছে কি না, টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। নিয়মবহির্ভূত কাজ হলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইপি টিভি নিয়ে তিনি বলেন, “আইপিটিভি পৃথিবীর বাস্তবতা। কিন্তু ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি সমীচীন নয় বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। আমরা ইতিমধ্যেই ১৪টি আইপিটিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার অনুমতি দিয়েছি।

“আইপিটিভি সংক্রান্ত নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে, সেখানে নীতিমালায় বলা আছে, আইপিটিভি কোনোভাবেই সংবাদ প্রচার করতে পারবে না, কেবলের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবে না।”