শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪০ বছর উপলক্ষে সোমবার রাতে ‘সেদিন শেখ হাসিনা যদি দেশে না ফিরতেন’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, “তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলা হতো বাংলাদেশকে। আজকে বাংলাদেশের এমন কোনো খাত নেই যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের হাতে গড়ে তোলেননি। আজকে বাংলাদেশকে একটা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন।
“বঙ্গবন্ধু যখন দেশে এসেছিলেন তখনও লক্ষ লক্ষ মানুষ এসেছিল, শেখ হাসিনা যখন এসেছিলেন তখনও লক্ষ লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। সুতরাং আমার কাছে মনে হয়, শেখ হাসিনার বেশে বঙ্গবন্ধু আবার ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসেছে।”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট যেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, শেখ হাসিনা তখন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, স্বামী ও দুই সন্তানসহ পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। ফলে তারা প্রাণে বেঁচে যান।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার এই দিন উপলক্ষে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। এটি পরিচালনা করেন সুভাস সিং রায়।
“১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত, এই ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া, বলতে গেলে তারা বাংলাদেশকে এখনও মেনে নিতে পারেনি।”
শেখ সেলিম বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন বঙ্গবন্ধুর দুই কণ্যা। দেশে ফিরে এই শক্তিকে মোকাবেলা করে আজকে দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আর তা হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই।”
হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যেন সংগঠিত হতে না পারে সেই জিয়াউর রহমানের কায়দায় শুরু করল এরশাদ সাহেবও। সরকার কোনো নিরাপত্তা দেয় নাই। জিয়াউর রহমান যেটা করেছে এরশাদ সাহেবও এভাবেই দেশ চালিয়েছে। ২৪ জানুয়ারি, ৮৮ সালে চট্টগ্রামে ২৪ জনকে হত্যা করেছিল এরশাদ সরকার। বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছিল সেদিন।”
এই ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।