সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন আহলে সুন্নাতের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আবারও হেফাজতে ইসলাম নিষিদ্ধের দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের নির্বাহী মহাসচিব আনম মাসউদ হোসাইন আলকাদেরী বলেন, “হেফাজতে ইসলাম হচ্ছে জামায়াতের এপিঠ-ওপিঠ।
“আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা যুগ যুগ ধরে সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, লেখনি ও বক্তব্যের মাধ্যমে কওমি হেফাজতিদের ভ্রান্ত আকিদাসমূহ তুলে ধরেছে এবং তাদরে ভ্র্রান্ত আকিদার বিষয়ে সম্মুখ বিতর্কের আহ্বান জানিয়ে আসছে।“
তবে হেফাজতের নেতারা কখনও এসব বিষয় নিয়ে সম্মুখ বিতর্কে রাজি হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
নির্বাহী মহাসচিব বলেন, “এ দেশে তারা (হেফাজতে) নিজেদের ধর্মীয় ভ্রান্তনীতি ও জঙ্গিবাদ জনগণের সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে।
২০১৩ সালে হেফাজত ইসলামের শাপলা চত্বরের তাণ্ডব জাতি দেখেছে। বায়তুল মোকাররমে কোরআনে আগ্নিসংযোগ, বাসে অগ্নিসংযোগসহ আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকার গাছপালা নিধন, দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানে এক নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।“
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সঙ্গে ইসলামের ‘দূরতম’ সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাষ্ট্রীয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করে তাও ইসলাম সম্মত নয়। অথচ তারা হেফাজত ইসলাম দাবিদার।“
সংবাদ সম্মেলনে কওমি মাদ্রসাকে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিও জানায় আহলে সুন্নাত।
এছাড়া বায়তুল মোকাররমসহ সব ধর্মীয় স্থাপনা জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান আল কাদেরী।
আরও পড়ুন-