বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেন তিনি।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একটা শ্রেণি টিকা নিয়ে অপপ্রচার করছে। আমি টিকার নেওয়ার পরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করিনি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।”
বিশ্বের অন্যসব দেশের মত বাংলাদেশের মানুষও এই মহামারীর মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার অপেক্ষায় ছিল।
কিন্তু ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দেশে আসার আগে আগে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। নেতিবাচক কিছু রাজনৈতিক প্রচারও তার সঙ্গে যুক্ত হয়।
সেই প্রসঙ্গ টেনে পলক বলেন, “অনেকের ভেতরে যে প্রশ্ন ছিল রাজনীতিবিদরা কেন টিকা নিচ্ছে না, সেই জায়গা থেকেই গতকাল আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি টিকা নেব।”
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বুধবার বিকালে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় বাংলাদেশে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং প্রথম পাঁচজনকে টিকা দেওয়া দেখেন।
প্রথম দিন সব মিলিয়ে মোট ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
সিলেট-৫ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার বুধবার টিকা নিতে কুর্মিটোলায় গেলেও তার শারীরিক কিছু জটিলতা থাকায় টিকা নিতে পারেননি বলে পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
উদ্বোধনী দিনে ২৬ জনকে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর টিকার প্রয়োগ শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া সকাল ৯টায় বিএসএমএমইউ এর মেডিকেল কনভেনশন সেন্টারে বানানো করোনাভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্রে নিজে টিকা নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের টিকা পেতে আগ্রহী সবাইকেই নিবন্ধন করতে হবে। সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে অথবা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধনের কাজটি সারতে হবে।
তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “সুরক্ষা অ্যাপে আবেদন জমা পড়ছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের সাথে সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্য না মিললে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না।”
আরও পড়ুন