বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি আত্মসমালোচনাও করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, “সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি…। স্বাস্থ্যখাতের ভঙ্গুর-দুর্দশা অবস্থা। এই স্বাস্থ্যখাত ইটসেলফ আক্রান্ত, করোনায় আক্রান্ত।
“করোনায় আক্রান্ত মানে ভেন্টিলেশনে আছে। সরকারও কিন্তু এ রকম ভেন্টিলেশনেই আছে।”
“বাংলাদেশের এই হাসপাতালগুলো পইড়া থাকব, বাংলাদেশের ডাক্তারদের চেম্বার খালি থাকব-আপনি লিখে নেন আমার থেকে।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই’ বলে মনে করলেও গয়েশ্বর হতাশ দলের সহকর্মীদের নিয়ে।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, “আমরা শুধুও পদে ব্যস্ত, কমিটিতে ব্যস্ত আর আমরা কথায় ব্যস্ত। আমরা পথে নামতে ব্যস্ত হই না বলেই কিন্তু সরকার আছে এখনও। কোমায় (ভেন্টিলেশন) থাকলেও সরকার আছে। এই কোমাটা (ভেন্টি্লেশন) খোলার দায়িত্ব যদি আপনারা নিতে পারেন তাহলে সরকার নাই।”
প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে ‘মৎস্য খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতে করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী।
সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুর রহিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আামিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।