বুধবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার কফিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ জ্যেষ্ঠ নেতারা তার কফিরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় তার কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দেওয়া হয়।
এর আগে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে মান্নানের প্রথম জানাজায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কায়সার কামাল, আবদুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, ইশরাক হোসেন, খন্দকার আবু আশফাক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকনসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী অংশ নেন।
“আমার এখনো মনে আছে, তিনি যখন বাংলাদেশ বিমানের এমডি ছিলেন, পরবর্তীকালে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন তখন বাংলাদেশ বিমান প্রফিট করেছিল এবং সেই প্রফিটের টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে বিমানের একটা স্থায়ী অফিস করেছিলেন, সকল বকেয়া ঋণ পরিশোধ করেছিলেন।”
তিনি বলেন, জনাব মান্নান ঢাকা জেলার সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যু বিএনপির নেতা-কর্মী বিশেষ করে ঢাকা জেলার নেতা-কর্মীর জন্য অনেক দূঃখের অনেক কষ্টের।
“আমি পরম করুণাময় আল্লাহ তালার কাছে এই দোয়া চাইছি তিনি যেন তাকে বেহেস্তের সন্দুরতম জায়গায় রাখেন।”
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরও তিনটি জানাজা শেষে ঢাকার আজিমপুর কবরাস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে আবদুল মান্নানকে দাফন করা হবে।
বেলা ১২টায় ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে, বেলা ৩টায় নবাবগঞ্জের রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং বেলা ৪টায় দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্য্টন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আবদুল মান্নান। ঢাকা-২ আসনে (নবাবগঞ্জ- দোহার) ১৯৯১ সালে থেকে চার বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির সংসদ নির্বাচিত হন তিনি।