তিনি বলেছেন, “আমরা মনে হয়- বিবেচনা করা উচিত, একজন যদি গুরুতর অসুস্থ হয়েই থাকেন; তার চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা এখানে তার (খালেদা জিয়া) অনুমতিটা যে দেওয়া হচ্ছে না সেটাকে তার দিক থেকে অস্বাভাবিকতা মনে করছি।”
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আাবেদন বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে নাকচ হয়ে যাওয়ার পর বিকালে গুলশানে নিজের অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এদিন এক প্রতিবেদনে আদালতকে জানায়, খালেদা জিয়া সম্মতি না দেওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তার ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ শুরু করা যায়নি।
পরে জামিন খারিজ করে আদালতের আদেশে বলা হয়, খালেদা জিয়া যদি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ নিতে সম্মতি দিলে, দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে বোর্ড চাইলে নতুন কোনো বিশেষজ্ঞকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি বলব- চিকিৎসাই শুরু করতে পারেননি চিকিৎসকরা। তার কারণ হচ্ছে- তারা জানিয়েছেন যেই অনুমতিটা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তাদের প্রয়োজন, সেই অনুমতি খালেদা জিয়া দেননি।”
জামিন খারিজের এই আদেশের মধ্য দিয়ে ‘সরকারের হিংস্রাশ্রয়ী নীতির বর্হিপ্রকাশ ঘটল’ বলে যে মন্তব্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী করেছেন, সে বিষয়েও কথা বলেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, “বিএনপি থেকে অনেক কিছু দাবি করা হয়- যেগুলো অযৌক্তিক। সেগুলোর জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমি। সেগুলোর বিচার আপনারা করবেন, জনগণ করবেন।”