ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেছিলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন ‘পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে’।
রোববার ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল পরবর্তী প্রীতিভোজ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসে তার জবাবে কাদের বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা কোন পরিবারের নেতা, আমরা জানতে চাই।
“বিএনপির মূল নেতৃত্বই তো একটি পরিবার থেকে এসেছে। এটা বেগম জিয়া ও তার সন্তান; তারাই তো হর্তাকর্তা, বিধাতা। এখানে মির্জা ফখরুল তো তাদেরই ইয়েস ম্যান হিসেবে কাজ করে।”
বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, “…আজ পর্যন্ত তাদের সম্মেলন করতে পারেনি। তারা মিটিং আহ্বান করে, সেই মিটিং একটা ফ্লপ মিটিং। সেখান থেকে কর্মীরা কিছু পায়নি, কর্মসূচি নিতে পারেনি।
“তাদের কোনো ঘরোয়া গণতন্ত্র নেই। তাদের জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো কমিটির বেশির ভাগ জায়গায় কমিটির অস্তিত্ব নেই। কবে কমিটি হয়েছে কেউ জানে না। বিএনপির মুখে এই কথা শোভা পায় না।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সভাপতি, এটা বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে তিনি আসেননি। শেখ হাসিনা তার যোগ্যতার বদৌলতে প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশের তিনিই হচ্ছেন অসীম সাহসী কাণ্ডারি, যিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্জনে বিশ্ব সভায় বিশেষ মর্যাদায় বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন।
“শেখ হাসিনা তার ক্যারিশমার বদৌলতে, নেতৃত্বের অসামান্য গুণাবলী, তার মেধা এবং তার ভিশনের জন্য আজ এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান লিডার। আজকে ৭৩ বছর বয়সেও তার গতি অ্যারাবিয়ান হর্সের মতো। এটা অনেকেই অবাক হন। এখনও তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা দেশের জন্য কাজ করেন, পরিশ্রম করেন।”
‘সিটি ভোটারদের মন জয় করেই জিততে চাই’
শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঢাকার ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়ার জন্য। আমরা নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করলে আমরা কেন জনগণের দোরগোড়ায় ভোট ভিক্ষা করতে যাব? আমরা তো ভোটারদের মন জয় করে বিজয়ী হতে চাই।”
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণের সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রহসনের বলে মনে করলেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যোগ দেওয়ার দাবি করে আসছে বিএনপি।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচন এখনও হলই না, এরমধ্যে নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেব, মওদুদ সাহেব আগাম মন্তব্য করলেন। এটা বিএনপির পুরোনো স্বভাব। তারা এভাবেই কথা বলেন।”
বিএনপি নির্বাচন হওয়ার আগেই ‘হেরে’ গেছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
“নির্বাচনটা আগে হোক। জাতি দেখবে এদেশে কেমন নির্বাচন হয়। আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশনকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।”
নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ বিএনপির ‘পুরনো অভ্যাস‘ দাবি করে তিনি বলেন, “তারা পরাজিত হবে জেনেই আবোলতাবোল বকছে, প্রলাপ বকছে।