‘শ্রমিকদের এক কাতারে এনেছিলেন আবুল বাশার’

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল বাশারের ‘নেতৃত্বকে’ স্মরণ করলেন চট্টগ্রামের নেতারা।  

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2019, 04:39 PM
Updated : 15 Nov 2019, 04:39 PM

আবুল বাশারের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার এক আলোচনা সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, “স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রমিককে এক কাতারে দাঁড় করাতে পেরেছিলেন কমরেড আবুল বাশার।

“তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় হয়েছে। কমরেড আবুল বাশারের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সব শ্রমিককে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তোলাই হচ্ছে আমাদের কর্তব্য। তা করতে পারলে উনার স্মৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হবে।”

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম জেলা শাখা যৌথভাবে আমিন জুট মিল কলোনি মাঠে এই আলোচনাসভার আয়োজন করে।

জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, “যে শোষণহীন সমাজের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নে সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। জীবনে কোনো প্রলোভন বা ভয়ের কাছে তিনি মাথা নত করেননি।

“শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। বিশ্বায়ন ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির সর্বগ্রাসী এই যুগে লড়াই-সংগ্রাম করেই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।”

জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীমউদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য মোখতার আহম্মদ, আমিন জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, যুব মৈত্রী চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মিয়া, আমিন জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন নেতা আনোয়ার, আবুল কালাম ও রঞ্জু শেখ সভায় বক্তব্য দেন।

১৯৩৪ সালে লক্ষ্মীপুরে জন্ম নেওয়া আবুল বাশার ষাটের দশকে চট্টগ্রামের শ্রমিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এক সময় হয়ে ওঠেন পূর্ব পাকিস্তান মজদুর ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

শ্রমিক আন্দোলন করতে গিয়ে বহুবার জেল খাটতে হয়েছে আবুল বাশারকে। একাত্তরে প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশ গঠন করে শ্রমিক আন্দোলনকে বেগবান করেন।

১৯৮৫ সালে মজদুর পার্টি ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি একীভূত হলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন বাশার। ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর ৭৮ বছর বয়সে মারা যাওয়ার সময়ও তিনি পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ছিলেন।