জাপায় যুগ্ম মহাসচিবের পদ পেলেন সাদ এরশাদ

বাবার আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বাবার গড়া দলে পদও পেলেন এইচ এম এরশাদের ছেলে রাহাগির আল মাহি সাদ এরশাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2019, 01:12 PM
Updated : 29 Oct 2019, 01:12 PM

সাদকে দলের যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মঙ্গলবার নিয়োগ দিয়েছেন তার চাচা জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

জাতীয় পার্টিতে এখন ১৬ জন যুগ্ম মহাসচিব রয়েছেন। সাদকে নিয়ে এই সংখ্যা ১৭ হল।

জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের মঙ্গলবার দুপুরের পর সাদকে মহাসচিব পদে মনোনয়ন দিয়ে চিঠিতে সই করেন।

এ বিষয়ে সাদের কোনো প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তার নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। সাড়া দেননি পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও।

এরশাদের জীবদ্দশায় সাদ থাকতেন বিদেশে, দলের কোনো কাজে ছেলেকে যুক্ত করননি তিনি। তবে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে ছেলেকে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় করতে চাইছিলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-২ ( ফুলবাড়ি-সদর-রাজারহাট) এলাকা থেকে তাকে প্রার্থী করার গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল; কিন্তু তা ঘটেনি।

গত বছর এরশাদ গুরুতর অসুস্থ হলে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন সাদ। মা রওশন এরশাদের সঙ্গে দলের নানা সভাতেও তিনি অংশ নিতে শুরু করেন।

সাদ এরশাদ

এ বছরের মাঝামাঝিতে এরশাদের মৃত্যুর পর রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে সাদকে প্রার্থী করা নিয়ে দলে দেখা দিয়েছিল বিভেদ; তখন নানা বিষয়ে এরশাদের স্ত্রী রওশন ও ভাই কাদেরের বিরোধ চরমে উঠেছিল। সাদের বিরোধিতায় নেমেছিলেন এরশাদের এলাকা রংপুরের নেতাকর্মীরা।

পরে রওশন-কাদের সমঝোতা হলে সাদকেই প্রার্থী করা হয় রংপুরের উপনির্বাচনে; মহাজোট শরিক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড় দেওয়ার পর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসেন লাঙ্গলের প্রার্থী সাদ।

৩৬ বছর বয়সী সাদ তরুণ বয়সে নানা বিতর্কে জড়ান, ঢাকায় একবার গ্রেপ্তারও হন তিনি। এরপর তাকে এরশাদই মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেন বলে জাতীয় পার্টির নেতারা জানান। এখন দেশে থাকা সাদ নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিলেও তার কী ব্যবসা, তা জানা যায়নি।

নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে হলফনায় সাদ এরশাদ জানান, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া থেকে বছরে তার আয় ৮ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৬ টাকা। আর ব্যবসা থেকে ৫০ লাখ ২৮ হাজার ১৪০ টাকা আয় তার।

হাতে নগদ ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৯ টাকা রয়েছে বলে ইসিকে জানান তিনি;  বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ২৯১ টাকার সমপরিমাণ।

৩৩ লাখ টাকার কৃষি জমি, ২৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার দালান এবং বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট মিলিয়ে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পত্তির হিসাবও দেন তিনি।

এরশাদের আরেকটি ছেলে রয়েছে, তার নাম শাহতা জারাব এরিক এরশাদ; তার মা বিদিশার সঙ্গে এরশাদের বিচ্ছেদ ঘটেছে।