‘ভারতের বিরুদ্ধে’ কিছু বলার নেই আমীর খসরুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করলেও ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চান না আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2019, 03:20 PM
Updated : 20 Oct 2019, 06:31 AM

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ মন্তব্য করেন।

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি বলে সরকারের সমালোচনামুখর বিএনপি।

আমীর খসরু বলেন, চুক্তির বিষয়ে ‘ভারত সরকারের বিরুদ্ধে এখানে কিছু বলার প্রয়োজন নাই’। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সেদেশের সরকার তার ভোটারদের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছে। ‘তারা যা পাবার নয়, তার চেয়ে বেশি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে নিয়েছে।’

‘সরকারের শুদ্ধি অভিযানে’ দুর্নীতি নির্মূল হবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশে দুর্নীতির যে চিত্র, দুর্বৃত্তায়নের যে চিত্র, দশ-বিশটা অভিযানের মাধ্যমে এই দুর্নীতি শেষ হবে না, লক্ষ অভিযান করেও এই দুর্নীতি এই দুর্বৃত্তায়ন শেষ হবে না।

“যারা দুর্নীতি করছেন, যারা দুর্বত্তায়ন করছেন, যারা অন্যায়-অবিচার করছেন তাদের জন্য মাঠ খোলা আছে। কারণ যে দেশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবাই একই কাজে ব্যস্ত তারা আবার অন্যের কাজে কীভাবে বাধা দেবে?”

দেশের অর্থনীতির অবস্থা তুলে ধরে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী ব্যবসায়ী ছাড়া অন্যদের বাংলাদেশে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নাই, সাধারণ মানুষের চাকুরি পাওয়ারও কোনো সুযোগ নাই।

“প্রতিবছর লোকজন ৭০ হাজার, ৮০ হাজার, ৯০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে এর একটা বড় অংশ হচ্ছে দুর্নীতির টাকা, দুর্বৃত্তায়নের টাকা। এটা পরিপূর্ণভাবে আওয়ামী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে, দলীয় অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।”

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারও এসরকার সুষ্ঠুভাবে বিচার করবে কি না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন খসরু।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, আইনি লড়াইয়ে দেশনেত্রীর মুক্তি হবে না, আইনি লড়াইয়ে গণতন্ত্রের মা মুক্তি পাবে না।

“সকলকে আগামী দিনে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে যেভাবে নেলসন ম্যান্ডেলা জেল থেকে বেরিয়েছিলেন, যেভাবে বিশ্বের প্রখ্যাত গণতন্ত্রকামী নেতানেত্রীরা জেল থেকে বেরিয়েছিলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আমাদেরকে সেই পথে যেতে হবে।”

এই মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কাদের গনি চৌধুরী, রফিক শিকদার, ফরিদ উদ্দিন ও কাজী মনিরুজ্জামান।

‘খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে চায়’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে সরকার। তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না।

‘‘আমরা আশঙ্কা করছি, দেশনেত্রীকে ধীরে ধীরে হত্যা করার পরিকল্পনা চলছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, তার কোনো সুচিকিৎসা হচ্ছে না, তাকে বের হতে সরকার বাধা দিচ্ছে।”

খালেদা জিয়া ও ছাত্র দলে ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এই মানববন্ধনে সংগঠনের সভানেত্রী অর্পনা রায়ের সভাপতিত্বে বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার, শিরিন সুলতানা, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদা ইয়াসমীন প্রমুখ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।