পর্যবেক্ষণে থাকবে যুবলীগের ‘ট্রাইব্যুনাল’: কাদের

অভিযোগবিদ্ধ নেতাদের বিরুদ্ধে যুবলীগের ট্রাইব্যুনালের কাজ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2019, 11:56 AM
Updated : 16 Sept 2019, 11:56 AM

গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশের সময় যুবলীগ নেতাদের নিয়েও কথা বলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাষ্য,বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগ নিয়ে তার কাছে আসা নানা অভিযোগ তুলে ধরেন তদের সাবধান করেন। তা না হলে, জঙ্গি দমনের মতো তাদেরকেও দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন শেখ হাসিনা।”

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার সংগঠনে একটি ট্রাইব্যুনাল আছে, যেখানে অপরাধে জড়িত নেতাকর্মীদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়। অতি শিগগিরই অভিযুক্তদের ওই ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি করার কথাও বলেন তিনি।

সোমবার মতিঝিলের বিআরটিসি কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান, যুবলীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা?

জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “যুবলীগ তো নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। তারা নিজেরাই শুনানির ব্যবস্থা করেছে। ভালো কথা, শুভ উদ্যোগ।

“যুবলীগ নিজেদের সংকট, অনিয়মের অভিযোগ সমাধান করবে। এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করব।”

জঙ্গি দমনের মত চাঁদাবাজদের মোকাবেলা করা হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, “এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী তথ্য পাচ্ছেন। দলের লোকের বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল আছে। যত বড় নেতাই হোক, যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক, কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে জিরো টলারেন্সের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।

“এ ব্যপারে জোর তদন্ত চলছে। সবই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তেমন নয়। কিছু কিছু প্রশাসনিক এবং আইন প্রযোগকারী সংস্থাকে বলা হয়েছে, যারাই অপকর্ম করবে- দলের লোক হোক, আর বাইরের লোক হোক, যত প্রভাবশলী হোক সবার সাথে আইনের ভাষায় কথা বলবে।”

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কতটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের বিষয়টি দেখছেন। তিনি ছাত্রলীগের কমিটি করেছেন, নতুন দুইজনকে তিনিই দায়িত্ব দিয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেটা তিনিই ঠিক করবেন। এটা প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে দেখছেন।”

দুর্নীতিবাজদের দরকার নেই

বিআরটিসিকে লাভজনক করতে হলে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সরানোর ওপর গুরুত্ব দেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “পাবলিক সার্ভিসে লাভটাকে বড় করে না দেখে জনগণের সার্ভিসটা গুরুত্ব দিতে হবে। যদি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায় তাহলে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখতে পাবে।

“৫০০ ট্রাক থেকে অনেক ইনকাম হচ্ছে তারপরেও বিআরটিসির কর্মচারীরা অভিযোগ করছে বেতন পাচ্ছে না। বিআরটিসির গাড়িগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে যত্নবান হওয়ার কোনো লক্ষণ আমি দেখছি না। বিআরটিসিতে চেয়ারম্যান আসে চেয়ারম্যান যায়, কিন্তু বিআরটিসির ভাগ্যের উন্নতি হয় না।”

অভিজ্ঞ হলেও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার প্রয়োজন নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জনবল কম বলে দুনীতিবাজ জনবলের দরকার নেই। জনবল কম হলে কম দিয়েই কাজ করব। একটা লোক জেনেশুনে দুর্নীতি, অনিয়ম করে, তাকে জেনেশুনেই বসিয়ে রাখলাম, ক্ষতিটা বিআরটিসির চেয়ে জনগণের বেশি হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব কর্মকর্তা বিআরটিসির উন্নয়নের চেয়ে নিজেদের পকেটের উন্নয়নের কথা ভাবে, তাদের রাখার কোনো দরকার নেই। তাদের এখানে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।”