খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে এই পরামর্শ দেন তিনি।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির আরও আড়াই ডজনের বেশি মামলা রয়েছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে খালেদাকে মুক্ত করতে না পারা বিএনপি নেতারা এখন বলছেন, ‘সরকারের হস্তক্ষেপের’ কারণে তাদের নেত্রীর মুক্তি হচ্ছে না। আন্দোলন ছাড়া তার মুক্তির বিকল্প পথও তারা দেখছেন না।
এই প্রেক্ষাপটে মহিলা দলের কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “যেখানে সরকার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে তার (খালেদা জিয়া) মুক্তি হবে না।
“তাই আমি মনে করি, বিএনপি ও তাদের মহিলা দলের অনেক বেশি দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিদিন এক হাজার মহিলা রাস্তায় আসুন। দেখেন একমাসের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে আসতে পারবেন।”
“আর দেরি না করে ছোট-খাটো ভুলভ্রান্তি পরিহার করে সবাই একত্রিত হয়ে সংগ্রামে অবতীর্ণ হোন। সরকার নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় খালেদা জিয়ার মুক্তি আসবে না। অপেক্ষা করতে হবে জনগণের রায়ের জন্য।”
বক্তব্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।
গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া আফরোজা বলেন, “এই তিনশ আসনে আমরা যারা প্রার্থী ছিলাম সবাইকে আমাদের রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হতে হয়েছে। এই সহিংসতার শিকার কেন আমরা হলাম এই সরকারের কাছে?
“স্বৈরাচারি ও অগণতান্ত্রিক সরকার বলে আমাদের ঘরে বন্দি করে তারা (সরকার) ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রহসনের একটি নির্বাচন করেছে এবং স্বঘোষিত একটা সরকার তারা করেছে। দেশবাসী ও বিশ্ববাসী এসব দেখেছে।”
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা, মহিলা দলের জিবা আমিন খান, হেলেন জেরিন খান বক্তব্য রাখেন।