পার্কিং ইজারায় দুর্নীতি: পলাতক খোকার ১০ বছর সাজা

রাজধানীর বনানীর ডিসিসি সুপার মার্কেট হাউজিং কমপ্লেক্সের বেইজমেন্টে কার পার্কিং ইজারায় দুর্নীতির দায়ে ঢাকার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাসহ চার আসামিকে দশ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2018, 06:05 AM
Updated : 29 Nov 2018, 06:10 AM

বুধবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মো. মিজানুর রহমান খান সাত বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খোকা ছাড়া দণ্ডিত তিন আসামি হলেন- সিটি করপোরেশনের ইউনিক কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন নকী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও গুডলার্ক কার পার্কিংয়ের ম্যানেজার এইচ এম তারেক আতিক।

তাদের মধ্যে খোকাকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ লাখ টাকা এবং বাকি তিনজনকে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আসামিদের কেউ রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সাদেক হোসেন কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তাকে পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার শেষ হল।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

ওই বছরের ৮ নভেম্বর দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ডিসিসির বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সের বেইজমেন্টের কার পার্কিং ইজারার জন্য ২০০৩ সালে দরপত্র ডাকা হয়।

জমা পড়া চারটি দরপত্রের মধ্যে মিজানুর রহমান নামের ব্যক্তি বার্ষিক এক লাখ ১০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন।

কিন্তু তখনকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

এ কারণে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৯ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনাকারী দুদকের আইনজীবী রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলাটির বিচার দীঘর্দিন হাই কোর্টে স্থগিত ছিল। ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বিচারক বুধবার রায় দিলেন।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণারর কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর নতুন তারিখ রেখেছিলেন বিচারক।