পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আশা করেও না পাওয়ার পর সোমবার গণফোরামে যোগ দেন সাইয়িদ।
আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা ওবায়দুল কাদেরের কাছে সাংবাদিকরা এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ড. কামাল হোসেনই যেখানে আওয়ামী লীগ থেকে চলে গেছেন, কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে নেই, সুলতান মনসুর নেই, সাংগঠনিক সম্পাদক মান্না নেই। তাদের তুলনায় এরা কি ইম্পর্টেন্ট লোক? সেখানে আবু সাইয়িদ তো কিছুই না।
“এসব নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। এসব নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বই কমেনি। দিনে দিনে আমাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এটাই আমারে বড় অ্যাসেট।”
শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালের সরকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সাইয়িদ। ওই সরকারে ওবায়দুল কাদের ছিলেন যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
তখন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন সাইয়িদ; কাদের ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতা মতিউর রহমান নিজামীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন সাইয়িদ। পরের নির্বাচনে হেরে যান।
জরুরি অবস্থার পর সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত সাইয়িদ দলীয় পদ হারানোর পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়নও পাননি।
তবে এবার নির্বাচনের আগে সাইয়িদের আওয়ামী লীগে ফেরার ইঙ্গিত মিলছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন না পেয়ে কামাল হোসেনের দল গণফোরামে যোগ দিলেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দল গণফোরামে নির্বাচনের আগে আরও কয়েকজন যোগ দিয়েছেন। এই জোটে বিএনপিও রয়েছে।