জামিন আবেদন নাকচ, বিএনপি নেতা রফিকুল কারাগারে

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2018, 11:10 AM
Updated : 21 Nov 2018, 11:23 AM

সম্পদ বিবরণী না দেওয়ার মামলায় তিন বছর সাজার রায়ের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রফিকুলকে তার ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 

বুধবার তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তার জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা।

শুনানি নিয়ে মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রফিকুলের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, বিএনপির এই নেতার পক্ষে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা এবং চিকিৎসা চাইলে হাকিম কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ দিয়েছেন।

সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় মঙ্গলবার ব্যারিস্টার রফিকুলকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব।

১৪ বছর আগের এ মামলার রায়ে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি রফিকুলকে আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা,  অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় সাবেক মন্ত্রী রফিকুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ওই পরোয়ানাতেই সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে নোটিস দিয়েছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি হিসাব না দেওয়ায় ব্যুরো কর্মকর্তা  সৈয়দ  লিয়াকত হোসেন ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি রফিকুলের বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরা থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন ওই কর্মকর্তা। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বিচার আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ সালের সরকারে পূর্তমন্ত্রী ছিলেন রফিকুল ইসলাম মিয়া; পরে বেশ কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর ফের বিএনপিতে সক্রিয় হন তিনি।

কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকার মিরপুরের আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।