খালেদার মেডিকেল বোর্ডে স্বাচিপ সদস্য: ডা. জাহিদ

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় পুনর্গঠিত মেডিকেল বোর্ড নিয়েও আপত্তি এসেছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2018, 01:04 PM
Updated : 6 Oct 2018, 01:12 PM

দলটির নেতা এবং বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের মহাসচিব এ জে এম জাহিদ হোসেন দাবি করেছেন, মেডিকেল বোর্ড হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্গঠিত হয়নি।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগার থেকে শনিবার হাসপাতালে ভর্তির পর বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন বলেছিলেন, হাই কোর্টের নির্দেশনা মেনেই মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠন হয়েছে।

আগের মেডিকেল বোর্ড নিয়ে বিএনপি আপত্তি জানিয়ে বলেছিল, সরকারের ‘পছন্দ অনুযায়ী প্রতিবেদন’ তৈরির পরিকল্পনা থেকে ‘অনুগত ও পছন্দের লোকদের’ দিয়ে ওই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

পুনর্গঠিত মেডিকেল বোর্ডে অধ্যাপক আবদুল জলিল চৌধুরী এবং ডা. বদরুন্নেসা আহমেদকে রেখে আগের তিনজকে বাদ দিয়ে নতুন নেওয়া হয়েছে অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক, অধ্যাপক সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী ও অধ্যাপক নকুল কুমার দত্তকে।

হাই কোর্টের নির্দেশনায় বলা ছিল, নতুন তিনজনের কেউ সরকার সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বা বিএনপি সমর্থক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সমর্থক হতে পারবেন না।  

মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠনের প্রতিক্রিয়ায় ডা. জাহিদ বলেন, “আজকে যে মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, যে নামগুলো পরিচালক মহোদয় বলেছেন, তা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী হয়নি।”

কেন তা মনে হল- তার ব্যাখ্যায় বিএমএর সাবেক এই মহাসচিব বলেন, “এখানে বোর্ডে যাদের রাখা হয়েছে, যদি নাম ধরেই বলা হয় সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী ও নকুল কুমার দত্ত উনারা তো স্বাচিপের লাইভ মেম্বার। এমন কি বদরুন্নেসা আহমেদও স্বাচিপের সদস্য।”

তিনি বলেন, “আমরা সন্দিহান এই কারণে যে এখানে এমন সদস্য আছেন, আপিল বিভাগ তাদের মেডিকেল বোর্ড বাতিল করে দিয়ে নতুন বোর্ড করিয়েছিলেন।

“সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সাহেব যে ডাক্তার সম্পর্কে বলছেন যে, সে বারে বারে আইসা আমাকে বলতেন আপনি অসুস্থ, অসুস্থ। সেই ডাক্তার সাহেবও এই বোর্ডের সদস্য।”

বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদার চিকিৎসার দাবি পুনরায় তুলে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “প্রত্যেকটা বিভাগেই অত্যন্ত প্রফেশনাল চিকিৎসক আছেন, তাদেরকে নিয়ে মেডিকেল বোর্ড কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি করা হত, তাহলে তাহলে আদালতের রায়ের প্রতিফলন ঘটত।”

নিজে চিকিৎসক হিসেবে জাহিদ বলেন, “তবে কে স্বাচিপের কিংবা কে ড্যাবের, সেটা নয়; সবার পরিচয় হওয়া উচিৎ চিকিৎসক। আদালতের নির্দেশনা মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উনাকে যেন যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং সম্মানের সঙ্গে যেন তা দেওয়া হয়।”