নিবন্ধন আবেদন বাতিল: ইসিকে গণসংহতির সাকির আইনি নোটিস

রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুর্নবিবেচনা করতে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিস দিয়েছেন দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2018, 11:10 AM
Updated : 23 Sept 2018, 11:22 AM

রোববার তার পক্ষে আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া রেজিস্ট্রি ডাকযোগ এ নোটিস পাঠান।

নোটিসে প্রধান নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন পেতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন জোনায়েদ সাকি।  

পরে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধি, ২০০৮ ও গণ প্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই আবেদনে। ১৫ দিনের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয় গণসংহতিকে।

পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয় ঠিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যাসহ গণসংহতির আবেদন ২২ এপ্রিল আবার নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়।

জোনায়েদ সাকি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম এরপর গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হবে। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করেও নিবন্ধন না দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু জানতে পারিনি।

“পরবর্তীতে ১৯ জুন নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব নোটিস দিয়ে জানায় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২ এর দুটি বিধানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। নোটিসে বলা হল, ‘গণসংহতি আন্দোলনের গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি এবং গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদ ৯০সি (১) (ই) এর সাথে গণসংহতি আন্দোলনের গঠনতন্ত্রের ১০(চ) সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে আবেদনটি খারিজ করা হল’।”

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চেয়ে সাকির করা আবেদনটি নির্বাচন কমিশন কোনো আইনগত কারণ উল্লেখ না করে ‘খেয়াল খুশিমত’ খারিজ করে দিয়েছে উল্লেখ করে আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুনের খারিজ আদেশটি বাতিল, প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করার জন্য আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তা করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

জোনায়েদ সাকি বলেন, “আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোকে সহযোগিতা করা, যেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

“রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন নিতে যে ধরনের শর্ত দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তা নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর বিকাশের পরিপন্থি। তারপরেও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ করেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলাম।”

সাকি আরো বলেন, “আমাদের গঠনতন্ত্রে যদি কোনো অসঙ্গতি বা সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে তো নির্বাচন কমিশন বলবে যে, এটা সংশোধন করেন। আমাদের সংশোধনী যদি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে আবারও তারা বলতে পারে যে, গ্রহণযোগ্য হয়নি।

কিন্তু তা না করে সংশোধনের নামে একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের অধিকার হরণ করা ঠিক না। রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্র কিভাবে আইন অনুযায়ী হয়, নির্বাচন কমিশনের উচিৎ সে ব্যপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহযোগিতা করা। আমরা এখনও গঠণতন্ত্র সংশোধন করতে পারি।”