ক্ষমতায় থাকতেই ভারত সফর: রিজভী

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে সন্দেহের গুঞ্জনের কথা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বললেও কনিষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন সরাসরি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2018, 08:19 AM
Updated : 27 May 2018, 08:19 AM

বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার ‘দেন-দরবার’ করতেই ভারতে এই সফর করেছেন শেখ হাসিনা।

আগের দিন এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর নিয়ে জনগণের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।

রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থে ভারত যাননি, তিস্তার পানির জন্য যাননি, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে যাননি। তিনি গেছেন ক্ষমতার টিকে থাকার দেনদরবারে।”

বিএনপির বিভিন্ন নেতা দাবি করে আসছেন, আওয়ামী লীগ ভারতের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতায় রয়েছে।

তা উড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, তারা জনগণের সমর্থনের উপর ভর করেই ক্ষমতায় আছেন।

রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে নিজ দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে মুরুব্বিদের কাছে দেন-দরবার শুরু করেছেন। কারণ তিনি (শেখ হাসিনা) বুঝতে পেরেছেন, তার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। সেজন্য ক্ষমতাসীনদের চিরাচরিত আশ্রয়স্থল ভারতের শরণাপন্ন হয়েছেন।”

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এখনও না হওয়ার প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “বছরের পর বছর শুনছি আলোচনা, কম্পিউটারের টাইপ, কাগজের দিস্তার পর দিস্তা কাগজ খরচ হচ্ছে। কিছুই হচ্ছে না।

“আমি বলেছি এরা (ভারত) দেবে না। প্রেম যদি ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক হয়, সেখান থেকে কখনও কিছু পাওয়া যাবে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ায়নি ভারতের সরকার, এটাই স্বাভাবিক। তারা কখনও দাঁড়াবে না।”

সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, “স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও সকল দলের অংশগ্রহণে। দেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল ‍হুদাকে ‘সুষ্ঠু ভোটের শত্রু’ আখ্যায়িত করেন এই বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সিইসির অনুগত ভূমিকা ততই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। এই সিইসির অধীনে বিষাক্ত প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসী নির্বাচন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”

মাকবিরোধী অভিযানের নামে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার তিরিপিনি ইউনিয়ন যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মোল্লাকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব,  তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, শামসুজ্জামান সুরুজ।