মঙ্গলবার লন্ডনে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) এক সেমিনারে প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও মানবিক বিষয় নিয়ে কর্মরত ওডিআই বিশ্বের নেতৃস্থানীয় থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট স্টোরি: পলিসি, প্রগেস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক সেমিনারের সঞ্চালনা করেন ওডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক অ্যালেক্স থিয়ের।
সেমিনারে বাংলাদেশের উন্নয়ন, সম্ভাবনা ও রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তার মূল বক্তব্য উপস্থাপন শেষে প্রশ্নোত্তরে এক সাংবাদিক বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে দণ্ডিত অপরাধী হয়ে কীভাবে এদেশে আছেন? তাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ সরকারের আছে কি না?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাজ্যের দরজা সবার জন্যই খোলা, যে কেউ উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নিতে পারে… এটা সত্য।
“কিন্তু এই ব্যক্তি দণ্ডিত এবং আমি বুঝতে পারি না যুক্তরাজ্য একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে কীভাবে আশ্রয় দেয়। তাই এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের জনগণকেই প্রশ্ন করাই শ্রেয়।”
এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার। ওই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে এখন কারাবন্দি তারেকের মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার অনুপস্থিতিতে পদাধিকার বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে লন্ডন থেকে দল পরিচালনায় নির্দেশনা দিচ্ছেন তারেক রহমান।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ অবমাননাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
তিনি বলেন, “সে (তারেক) আদালতে দণ্ডিত ব্যক্তি। আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে নিতে চাই এবং অবশ্যই তাকে আদালতের মুখোমুখি হতে হবে।
“এ বিষয় নিয়ে আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। অবশ্যই একদিন তাকে ফিরিয়ে নিতে পারব।”